পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(OR পথের সন্ধান প্ৰতিকুল, সেখানে তোমরা এসব কাজ সেরে নিয়ে তারপর যদি আইনভঙ্গ আরম্ভ করতে চাও, তাহলে এ যাত্রায় আর তোমাদের আইনভঙ্গ আরম্ভ করা হবে না। অন্নবস্ত্রের চিন্তা, শিক্ষার ব্যবস্থা আর সমাজ-সংস্কার-এসব তাড়াতাড়ি সেরে নেবার জিনিষ নয় ; দেশ স্বাধীন হবার পরেও এ সমস্ত কাজে লেগে থাকতে হবে । এ সমস্ত কাজের সঙ্গে রাজনীতির সম্বন্ধ মুখ্য নয়, গৌণ । রাজনীতির সঙ্গে মুখ্য সম্বন্ধ হচ্ছে আইনভঙ্গের । এই আইনভঙ্গটাকে স্থগিত রাখা হয়েছিল রক্তারক্তির ভয়ে। দেশকে শিক্ষা দিয়ে বা খন্দর পরিয়ে একেবারে অহিংস করে” তুলতে পারা যাবে একথা মনে করবার যে বিশেষ কারণ আছে তা’ত দেখতে BBDSS BD SL LS DuDB BBDDBDD DDBDDD এক শিষ্য লিখছেন যে এই অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে রাগ আর হিংসা ঢুকে পড়েই সব মাটী করে” দিয়েছে। যতক্ষণ আমাদের মন থেকে রাগ-দ্বেষ না যাবে ততক্ষণ আমাদের এই সব কষ্ট সহ করা বৃথা হয়ে যাবে। বিনা ক্ৰোধে কষ্ট সহ্য করতে পারলে যে আধ্যাত্মিক শক্তির সৃষ্টি হবে সেই শক্তির কাছে নাকি অত্যাচারীর শক্তি পরাভব মানবে। সাধুরা যখন, তুরীয় তত্বের কথা বলেন, তখন অনেক অসহযোগীকে তাই শুনে হেসে গড়াগড়ি দিতে দেখেছি, কিন্তু অসহযোগীদের এই ক্ৰোধ নিরশন ব্যাপারটা তার চেয়ে কম হাস্যকর বলে’ ত মনে বোধ হয় না। দেশজুদ্ধি লোক আধ্যাত্মিক মুক্তি লাভ করে” তারপয় রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্যে চেষ্টা করবে: