পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সন্ধান کسی কিন্তু গৌণভাবে, মুখ্যভাবে নয়। খন্দর নিজেদের হাতে তৈরী করে” নিতে পারলে চাষীদের দুঃখ কতকটা ঘুচবে, মদ খাওয়া ছাড়লে কুলি-মজুরদের অবস্থা একটু ভালো হবে ; অনাচরণীয় জাতকে আচরণীয় করে নিতে পারলে তাদের সহানুভূতি পাওয়া যাবে। ঠিক কথা ; কিন্তু সুধু এইটুকুই যথেষ্ট নয়। চাষা-ভুষোদের আর কুলি-মজুরদের প্রাণের কথা যে কি, তা তারা বেশ স্পষ্ট করেই বলেছে, কিন্তু আমরা সেদিকে নজর দিইনি। পাড়াগায়ে গেলেই লোকে আগে জিজ্ঞেস করে-“বাবু, চৌকিদারী টেক্সটা উঠিয়ে দিতে পার ? নুণের টেক্সটা উঠাতে পার ?” কিন্তু তাদের সে কথাগুলো ধামাচাপা পড়ে গেছে। সারা হিন্দুস্থান আর রাজপুতানা জুড়ে’ গ্রামে গ্রামে কৃষাণ-সভার সৃষ্টি হলো ; লোকেরা জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্ৰাণপণে লড়াই করলে। কিন্তু কংগ্রেস তাদের পরকালের দিক চেয়ে শাস্তশিষ্টভাবে কষ্ট সহ্য করবার উপদেশ দিয়েই নিজের কৰ্ত্তব্য শেষ করলেন । তাদের দুঃখ ঘোচাবার চেষ্টাটা কংগ্রেসের কাজের অঙ্গীভূত হলো না। দেশের এক কোণ থেকে আরম্ভ করে” আর-এক কোণ পৰ্য্যন্ত কলের মজুরদের ধৰ্ম্মঘটে ছেয়ে গেল। কিন্তু তাদের জন্যে লড়াই করা কংগ্রেলের কাজ বলে গণ্য হলো না। ফলে তালুকদারদের হাতে আর সরকারী সেপাই বাহাদুরদের হাতে মার খেয়ে তারা নিরুৎসাহ হয়ে পড়লো। আজ আধ্যাত্মিক তত্ত্বকথা শোনান বা উকিল-ব্যারিষ্টারদের পিছু পিছু তাড়া করে যাওয়া কংগ্রেসের বড় কাজ নয় ; বড় কাজ