পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 পথের সন্ধান যখন তারা জিজ্ঞেস করলে-“নায়েব মশায় আর দারোগ বাবুর হাত থেকে বাঁচাবার কি করলেন ?”-তখন আমরা বললুম“ওসব কথা এখন বোলো না, এখন মন দিয়ে চরকা কাটা।” শেষে যখন বললে-“বাবু, দারোগার জ্বালায় যে আর বঁাচিনে।” তখন আমরা গভীরভাবে বললুম-“পড়ে পড়ে মার খাও। আধ্যাত্মিক স্বরাজ পাবার ঐ রাস্তা ।” তারা চুপ করে” রইলো বটে, কেননা ভদ্রলোকের মুখের উপর কথা কওয়ার অভ্যাসটা তাদের এখনো হয়নি। কিন্তু বোধ হয় তারা মনে মনে ভেবেছিল-“ও-রাস্তায় যদি স্বরাজ পাওয়া যায় তাহলে তা আমাদের অনেক দিন আগেই তা পাওয়া উচিত ছিল। চুপ করে? মারি খাওয়া ত আমাদের চিরকেলে অভ্যোস । এটা শেখবার জন্যে এত ঢাক-ঢোল পেটাবার দরকার কি ? যা নিয়ে আমরা জলে মরছি, তাই যদি ঘোচাতে না পার তা ঐ রইল তোমার চরকা ।” তাই আজি মনে হয় কংগ্রেসের কাজের ধারাটা একটু বদলাতে হবে। আমাদের আধ্যাত্মিক স্বরাজকে তুরীয়লোক থেকে টেনে এনে আধিভৌতিক, কাঠামের উপর বসাতে হবে। আধ্যাত্মিকতা সম্বন্ধে নতুন নতুন পরীক্ষা করে দুনিয়াটাকে নতুন ছাচে ঢালাই করবার দরকার হয়, তা কোরো-অনন্তকাল সুমুখে পড়ে” আছে। কিন্তু দোহাই তোমাদের-ঐ পরীক্ষাটা সুধু কুলি-মজুর বেচারীদের ঘাড়ের উপর দিয়ে কোরো না । তোমাদের পরীক্ষা শেষ হতে হতে তারা যে মরে ভূত হয়ে যাবে! - ১০ই শ্রাবণ, ১৩২৯