পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬ পথের সন্ধান । শ্রেণীর লোক। সুধু তত্ত্বকথা আর চরকা আশ্ৰয় করে? তারা যদি এখনকার মত বসে’ থাকতে চান তা’হলে তঁদের লোপ পেয়ে যাওয়া অনিবাৰ্য্য। জনসাধারণের ক্রুদ্ধ নয়ন দেখে তারা যদি সুধু মালা জপাবার ব্যবস্থা দেন, তাহলে একুল-ওকুল দুকুল নষ্ট হবে। এইটুকু তঁাদের আজ বেশ করে” বোঝা দরকার যে, দেশকে স্বাধীন করতে গেলে যে-শক্তির প্রয়োজন তা তাদের আপাততঃ নেই, আর সুধু বচনের দ্বারা সোঁ-শক্তি সংগ্ৰহ করা যায় না । দেশের জনসাধারণ তঁাদের কাছে আশ্রয় নিতে এসেছিল, কিন্তু তারা বুদ্ধির দোষে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন । তারা নিজের নিজের খেয়াল নিয়েই ব্যস্ত, দেশের লোকের মনের ভাব বোঝবার তাদের সময় হয়নি। কিন্তু আজ অসহযোগ আন্দোলনকে যদি যথার্থই স্বাধীনতার আন্দোলন করে তুলতে হয়, তাহলে আর কুলি-মজুর চাষা-ভুষোকে বাদ দিলে চলবে না। যারা কাউন্সিলে গিয়ে লড়াই করতে চান, তারা যান ; যতদিন তঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারেন তা থাকুন। তঁদের উপর বেশী ভরসা করলে চলবে না। আসল কাজ কাউন্সিলের বাইরে ; কুলি-মজুর চাষা-ভুষোর মধ্যে। তাদের বোঝাতে হবে যে তারাই দেশের প্রাণ ; তাদের দেখিয়ে দিতে হবে যে সংঘবদ্ধ হলে তারা সব করতে পারে। তারা যে সমস্ত দিন খেটে অনাহারে মরবে। এটা বিধির বিধান নয়; এটা একেবারেই মানুষের বিধান। আর : তারা সংঘবদ্ধ হয়ে চেষ্টা করলেই এ বিধান উল্টে দিতে পারে। তাদের মধ্যে আশা গজিয়ে দিতে হবে ; তাদের শক্তির আস্বাদ দিতে হবে। তাদের মাথায়