পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের কঁঠাল, তোমাদের মাথা ৬১ দেখতে পাবে যে ইংরেজ রাজত্বের শিকড় আরও অনেক দূর পর্যন্ত গজিয়েছে। ইংরেজ এদেশে ব্যবসা করতে এসেছিল আর ব্যৰসার বিস্তারের জন্যেই রাজ্য গড়ে তুলেছে। এদেশে কলকারখানা বানিয়ে, ব্যবসায় চালিয়ে যতদিন ইংরেজের লাভের সম্ভাবনা থাকবে ততদিন ইংরেজের প্রভুত্বও বজায় থাকবে। সেই লাভের টাকা সৃষ্টি করে কে ? যারা মাঠে চাষ করে’। ইংরেজের জন্যে কঁচামাল তৈরী করে, যারা কুলি-মজুর হয়ে ইংরেজের কলে খাটে, তারাই ইংরেজের রাজত্বের ভিত্তি। তাদের খাটিয়ে টাকা করবার জন্যেই ইংরেজের এদেশে রাজত্ব করা। আর তোমরা ? তোমরা যারা ইংরেজী শিখে মনে করেছ। তোমরাই দেশের সর্বস্ব, যার উপাধি নিয়ে রায় বাহাদুর হয়েছ, যারা আদালতে গিয়ে ওকালতি করছ, যারা কাউন্সিলে গিয়ে বক্তৃতা করছ, যারা কলেজে পড়ে।” চাকরীর জন্যে দরখাস্ত হাতে করে? অফিসের দরজার কাছে ঘুরে’ ঘুরে বেড়াচ্চ, তোমরা ইংরেজকে টাকা রোজকার করবার জন্যে একটু সাহায্য কর মাত্ৰ। তোমরা দেশের অর্থ সৃষ্টি কর না ; ইংরেজের সাহায্য করে সুধু খানিকটা অর্থের ২ উপর ভাগ বসাও মাত্র। ইংরেজ তোমাদের একটু সাহায্য নিয়ে রাজ্য চালায় ; কেননা তাতে খরচ একটু কম পড়ে। কিন্তু তা বলে’ ভেবো না যে তোমরা সরে’ দাড়ালে এ রাজ্য ভেঙ্গে পড়বে। তোমাদের বয়কটের গোড়ায় গলদ ঐখানে। যারা সত্যি সত্যি অসহযোগ করলে ইংরেজের রাজ্য ভেঙ্গে । পড়ে তারা মাঠের চাষা, কলের মজুর। তোমাদের কথায় উদ্ধ ।