পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VIR *८९द्भ नशन् হয়ে তারা যেদিন নিজেদের পাওনাগণ্ড বুঝে পাবার জন্যে রুখে দাড়াল, সেদিন তোমরাও নিজেদের সর্বনাশ হবে ভেবে ভয়ে অতিকে উঠলে । তাড়াতাড়ি বলে’ পাঠালে-“জমিদারের খাজনা এখনি দিয়ে দাও, চৌকিদারী ট্যাক্স, নুণের ট্যাক্স এখনি দাও।” তোমাদের সঙ্গে কুলি মজুর চাষার স্বাৰ্থ যে এক নয়, সে কথা তারা সেইদিন বুঝতে পেরেছে, সেইদিন তারা টের পেয়েছে যে তোমরা ইংরেজের ছোট ভাই। তোমাদের আধ্যাত্মিক তত্ত্বকথার দর যে কি, তা বুঝতে তাদের আর বাকি নেই। আজ তোমরা প্ৰজার রক্ত চুষে জমিদার হয়েছ, মক্কেলের প্রাণবধ করে’ ব্যারিষ্টার হয়েছ, কলেজে এমএ পাশ করে” বিয়ের বাজার গরম করে’ তুলেছি, আর টাকার থলি অকড়ে বক্তৃতা দিয়ে বলছি-“হে দেশবাসিগণ, ইংরেজকে তাড়িয়ে, আমাদের সিংহাসনে বসিয়ে দাও। তারি নাম স্বরাজ। এই স্বরাজ হলে দেশের দুঃখ আর থাকবে না।” কিন্তু দেশের নিরক্স, অস্পৃশ্য, রুগ্ন লোকগুলো যখন তোমাদের জিজ্ঞাসা করে-“বাবুৱা তোমাদের টাকার থলির কতখানি আমাদের জন্যে খালি করবে, তোমাদের স্বরাজে আমাদের ব্যবস্থা কি রকম হবে?--তখন তোমরা পরম ধাৰ্ম্মিক সেজে বলো-“বাপু - সকল, টাকার থলির দিকে দৃষ্টি কোরো না, লোভ বড় খারাপ জিনিষ। তোমরা নিষ্কামভাবে স্বাৰ্থত্যাগ করতে শেখ, ষড় রিপু, দমন করা। আমাদের কথামত পড়ে পড়ে মার খাও, আর অহিংসা অভ্যাস করো। আমাদের কঁঠাল আর তোমাদের মাথা, এ দুটো মিশিয়ে, এসে অপার্থিব স্বরাজের সৃষ্টি করি।” ।