পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ পথের সন্ধান চাষীর স্বত্বই যে আর-সবার স্বত্বের চেয়ে বাড়ানো দরকার তা চোখে স্বার্থের ছানি না থাকলে দেখতে কিছুই কষ্ট হয় না।” চাষের জমির উপর চাষীদের স্বত্ব যদি স্বরাজের অঙ্গীভূত হয়। তা’হলে চাষীরা সবাই স্বরাজ পাবার জন্যে লড়তে রাজী হবে; আর স্বরাজ যদি সুধু একটা ফাক আওয়াজ হয় তাহলে তার জন্তে এদেশে সিভিল ডিসেবিডিয়েন্স কস্মিনকালেও হবে না । যারা কাউন্সিলে গিয়ে লড়াই করতে চান তঁরা এই চাষীদের হয়ে লড়াই করতে রাজী আছেন ? তঁরা এ কথা বলতে রাজী আছেন যে চাষের জমি চাষীর সম্পত্তি বলে’ স্থির করা হোক ? জমিদার সুধু উড়ো” এসে জুড়ে’ বসেছে, তারা জমির কেউ নয় ? তা বলতে যদি রাজী থাকেন, তা সমস্ত প্ৰজা তঁদের পক্ষে এসে দাড়াবে ; সবাই তাদের কথামত কাজ করতে প্ৰস্তুত হবে । এখনকার কাউন্সিল জমিদার আর মহাজনে ভরা তা জানি ; আর কাউন্সিলে গিয়ে আপাততঃ ও-রকম আইন পাশ করাও যে অসম্ভব তা জানি । কিন্তু দেশকে সিভিল ডিসোবিডিয়েন্সের জন্যে প্ৰস্তুত করবার জন্যে যারা কাউন্সিলে যেতে চান তঁদের সুধু মুখের কথায় নয়, সত্যি সত্যিই এই প্রজাদের প্রতিনিধি হয়ে দাড়াতে হবে। কাউন্সিলে গিয়ে প্ৰজার হয়ে তঁদের বলতে হবে যে প্ৰজারা জমির উপর পূর্ণ স্বত্ব চায়; আর যখন কৰ্ত্তারা তাদের সে প্ৰস্তাব ছুড়ে ফেলে দেবে, তখন কাউন্সিলের বাইরে এসে প্রজাদের বলতে হবে।-‘এরা তোমাদের কথা শুনছে না, অতএব খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে” দিয়ে একবার আচ্ছা করে”