পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের পথ b്ടു র্তার তৃতীয় যুক্তি হচ্ছে এই যে, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে মিলটা এখনও পাকা হয়নি। এখন যদি জমিদারদের বিরুদ্ধে প্ৰজারা ক্ষেপে উঠে, তাহলে এদেশে যখন প্ৰজাদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা বেশী, আর জমিদারদের মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা বেশী, তখন জমিদার আর প্রজার ঝগড়াটা হিন্দু-মুসলমানের ঝগড়া হয়ে দাড়াবে। সে একটা বিষম বিপদ । চতুর্থ যুক্তি এই যে, দেশের স্বাধীনতা আনতে গেলেই যে ধনী আর মধ্যবিত্তদের ধ্বংস করতে হবে, এরই বা মানে কি ? দেশের স্বাধীনতার জন্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকে যত লোক পাওয়া গেছে, তত আর কোন শ্রেণী থেকে পাওয়া যায়নি, সুতরাং কৃষক আর শ্রমজীবীরা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিরুদ্ধে যদি যায়, ত. তার ফলে অরাজকতার সৃষ্টি হবে মাত্র। ফরাসী-বিপ্লবের সময় যে অরাজকতা এসেছিল, তার ফল তো হোলো প্ৰায় শূন্ত ! প্ৰায় এই রকম কথা আমরা আরও অনেক বন্ধুবান্ধবদের কাছে শুনতে পাই। তাদের প্রায় সকলেরই ধারণা যে সমস্ত। দেশটাকে এক সুত্রে বেঁধে বিদেশীর ঘাড়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া যাক। তারপর নিজেদের হাতে যখন রাজ্যটা আসবে তখন ঘরোয়া ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করা হবে । কিন্তু আমাদের বিশ্বাস যে বিদেশী-শাসনের বিরুদ্ধে দেশের সমস্ত লোককে একত্র করবার আশায় যারা বসে’ থাকবেন, তাদের চিরকালই বসে’ থাকতে হবে। যাদের স্বাৰ্থ বিদেশী আমলাতন্ত্রের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত, তারা নিজেদের স্বাৰ্থ বজায় রাখবার জন্যে যতটা