পাতা:পথের সাথী.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পথের সাথী

 নিজের সমস্ত সামর্থ্য দ্বারা অন্য প্রাণীর মুখ শান্তি প্রাপ্তির জন্য কার্য্য, মন ও বাক্যে চেষ্টা করার নাম পরোপকার। ইহারই দ্বারা চিত্তশুদ্ধি হয়। আর ভগবচ্চিন্তা দ্বারা “বৃত্তি নিরোধ” এবং আত্মসমৰ্পণ দ্বারাই “শুদ্ধভক্তি” লাভ হইয়া থাকে।

 প্রথম প্রথম সাকার উপাসনা না করিলে আমাদের স্থির ধারণা জন্মে না; সুতরাং নিজ নিজ সম্প্রদায়ে থাকিয়া তাঁহার যে কোন একটা মূর্ত্তিতে মন স্থির করিয়া সাধন আরম্ভ কর।

 কোন্‌ মূর্ত্তিতে সাধন আরম্ভ করিবে ভাবিয়া সময় নষ্ট করিও না। যে মূর্ত্তি তোমার সবচেয়ে ভাল লাগে, সেই মূর্ত্তির মধ্য দিয়াই তাঁহাতে মন সমর্পন করিয়া অগ্রসর হও। সকল মূর্ত্তির মধ্যেই সেই এক অখণ্ড ব্রহ্ম বিরাজ করিতেছেন।

“এক সদ্বিপ্রাঃ বহুধা বদন্তি।”(২)[১]

 তবে ইষ্ট নিষ্টার প্রয়োজন।


ছয় ঘণ্টার কম, নয় ঘণ্টার বেশী নিদ্রা যাইও না।

  1. বঙ্গানুবাদ-(২) সেই সচ্চিদানন্দ ব্রহ্ম এক হইলেও পণ্ডিতগণ তাঁহাকে নানারূপে ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন।