পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>くぐ পত্রধারা মতো কেবল নিজের বকুনি দিয়েই বিদ্যের অভাব চাপা দিয়ে রাখি । কাব্যালোচনা সভায় প্যারাফ্রেজ ও প্যারাল্যাল প্যাসেজ মাথায় জোটে না ব’লে কবিতা রচনা ক’রে নিজের মান রাখি। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তুমি পড়ে যাচ্ছ আর হাসছ মনে মনে এবং প্রকাশ্যে । বলছ এট হোলো ফাকা বিনয় ; অহংকারের বস্তা উপায় নেই—সমাজনীতি অনুসারে সত্যের খাতিরে অন্ত্যকে প্রশংসা করতে পারি নিজেকে নয় । আত্মস্তুতি মনে মনেই করতে হয় তাতে পাপ বাড়ে বই কমে না। আসল কথা, স্বদেশ থেকে বিদেশে এলেই আত্মগৌরব অত্যন্ত বেড়ে ওঠে । যার কপালে ঠাণ্ডা জলও জোটে না সে হঠাৎ পায় শু্যাম্পেন। তখন তোমাদের অধ্যাপকমণ্ডলীকে ডাক দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, ওগো মাস্টারমশায়েরা, আমাকে তোমাদের ছাত্র ব’লে হঠাৎ ভ্রম কোরো না, আমি যে পেপারগুলো লিখেছি তাতে তোমাদের একজামিনেশন পেপার-এর মার্ক দিয়ে না, কেননা সেগুলো তোমাদের এখানকার অধ্যাপকের দাবি করেন । তুমি জানো আমি স্বভাবত বিনয়ী, স্বদেশী মাস্টাররা মেরে মেরে আমাকে অহংকারী ক’রে তুললে। এ জন্যে মনে মনে প্রায়ই লজ্জা বোধ হয়। কিন্তু সত্যি কথা বলি তোমাকে, খ্যাতি সম্মান পেয়েছি প্রচুর, তবু মন ভারতসমুদ্রের পারের দিকে তাকিয়ে থাকে। শান্তিনিকেতন থেকে খুকু লিখেছে, “কাল খুব ঝমাঝম বৃষ্টি গেছে, আজ সকালে উঠেছে কাচা সোনার মতো রোদ”—ঐ কথা ক’টা যেন সোনার কাঠি ছুইয়ে দিলে,