পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ পত্রধারা খুঁটিনাটিতে মন আবদ্ধ হয়ে সমষ্টিকে স্পষ্ট দেখতে দেয় না, সেইটেই আমাদের শক্তির অসম্পূর্ণতা। এই কারণেই, আমাদের সমস্ত আয়ু নিয়ে আমরা যে জীবনযাপন করেছি তাকে আমরা পুরোপুরি জানতেই পারিনে,—যা পাইনে তার জন্তে খুত খুত করি, যা হারিয়েছে তার জন্যে বিলাপ করি, এমনি করে যা পেয়েছি তার সবটাকে নিয়ে তাকে যাচাই করার অবকাশ পাইনে ।) আসল কথা, শান্তিনিকেতনের আকাশ ও অবকাশে পরিবেষ্টিত আমাদের যে জীবন তার মধ্যে সত্যই একটি সম্পূর্ণরূপ আছে, যা কলকাতার সূত্রচ্ছিন্ন জীবনে নেই। সেই সম্পূর্ণরূপের অন্তর্গত নানা অভাব ও ক্রটি তার পক্ষে ঐকান্তিক নয়, সেগুলো অপ্রাসঙ্গিক, পর্বতের গায়ের গতের মতো, যা পর্বতের উচ্চতাকে বৃথা প্রতিবাদ করে । শান্তিনিকেতনের ভিতর দিয়ে মোটের উপর আমি নিজেকে কী রকম ক’রে প্রকাশ করেছি সেইটের দ্বারাই প্রমাণ হয় শান্তিনিকেতন আমার পক্ষে কী—মাঝে মাঝে কী রকম নালিশ করেছি, ছটফট করেছি তার দ্বারা নয় । শুধু আমি নই, শান্তিনিকেতনে অনেকেই আপন আপন সাধ্যমতো একটি সুসংগতির মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করবার সুযোগ পেয়েছেন । , এটা যে হয়েছে সে কেবল আমার জন্তেই হয়েছে এ কথা যদি বলি তাহলে অহংকারের মতো শুনতে হবে কিন্তু মিথ্যে বলা হবে না। আমি নিজের ইচ্ছার দ্বারা বা কম প্রণালীর দ্বারা কাউকে অত্যন্ত অাট করে বঁধিনে ; তাতে ক’রে কোনো অস্থবিধে হয় না তা বলিনে—