পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ぐり পত্রধারা প্রদোষান্ধকারে ভালো করে আর খুজে পাইনে। আমার সেদিনকার ধ্যানরূপের প্রতিবিম্ব আমার চারিদিকে কারেী মধ্যে স্পষ্ট দেখা যায় না। বুঝতে পারি কাছের লোকের মধ্যে আমার প্রাণের অনুপ্রাণন ঠিকমতো ঘটে ওঠেনি। Mআমার পিতৃদেব যেমন করে আপনার জীবনের দীক্ষাকে রেখে গেছেন আমি আমার অন্তরের ধ্যানটিকে তেমন করে রেখে যেতে পারব না । তার জায়গায় ব্যবস্থা আসবে, কমের চাকা চলবে। একটা কারণ, আমার মনঃপ্রকৃতির বিচিত্রতা, আমি সব দিকেই যাই, সব কথাই বলি, সব ছবিই আঁকি । M অথচ ক্ষণে ক্ষণে যখন দেখি বিদেশের লোক এ জায়গাটার ভাবের ছবি দেখে গেছে, তাদের অনেক লেখাতেই সেটা পড়লুম—তখন মনের ভিতরে একটা কান্না আসে এই ছবিটিকে মুছতে দিয়ে না, এর দাম আছে, তোমার যা কিছু বড়ো, যা কিছু সজীব এখনো এর মধ্যে উৎসর্গ করে । সেই যে সেদিন আমার জীবনের কেন্দ্রস্থল থেকে একটি উজ্জলা ধ্যান, নীহারিকার মাঝখানে নক্ষত্রের মতো, অভিব্যক্ত হয়ে উঠেছিল তাকে আবার দেখতে পাই এখানে যখন একলা বসে থাকি, চারিদিকে আর কোনো কথা থাকে না কেবল থাকে আমার সেই অতীতকালের বাণী । তাকে হারাতে ভুলতে ঝাপসা হোতে দিতে ইচ্ছে করে না। জীবনের সত্যযুগ মাঝে মাঝে আসে, তখন নিজেকে সত্য করে পাই, তখনকার অন্ত৷ এবং কম একটা ধ্যানকেন্দ্রকে ভাবকেন্দ্রকে আশ্রয়