পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હર পত্রধারা আমাকে পেয়ে বসেছে। তার হাত ছাড়াতে পারছিনে। কেবলি তার পরিচয় পাচ্ছি নতুন নতুন ভঙ্গীর মধ্যে দিয়ে। তার রহস্যের অন্ত নেই। যে বিধাতা ছবি অঁাকেন এতদিন পরে তার মনের কথা জানতে পারছি। অসীম অব্যক্ত, রেখায় রেখায় আপন নতুন নতুন সীমা রচনা করছেন—আয়তনে সেই সীমা কিন্তু বৈচিত্র্যে সে অন্তহীন। আর কিছু নয়, সুনির্দিষ্টতাতেই যথার্থ সম্পূর্ণতা । অমিতা যখন সুমিতাকে পায় তখন সে চরিতার্থ হয় । ছবিতে যে আনন্দ, সে হচ্ছে সুপরিমিতির আনন্দ, রেখার সংযমে সুনির্দিষ্টকে সুস্পষ্ট । করে দেখি—মন বলে ওঠে, নিশ্চিত দেখতে পেলুম—তা সে যাকেই দেখি না কেন, এক টুকরো পাথর, একটা গাধা, একটা কাটা গাছ, একজন বুড়ি, যাই হোক। নিশ্চিত দেখতে পাই যেখানেই, োনেই অসীমকে স্পর্শ করি, আনন্দিত হয়ে উঠি । তাই বলে একথা ভুললে চলবে না যে তোমার চ৷ খুব ভালো লেগেছে । ইতি ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৩৩৫