পুষ্পে পুষ্পাকীর্ণ করিতেছে। এই সকল পদে রাধা মৃতা ও মৃতপ্রায় নহেন,—অমৃতের অধিকারিণী।
পূর্ব্বোক্ত পদটি নিম্নে দেওয়া যাইতেছে—
“কহিও কানুরে সই, কহিও কানুরে,
পিয়া যেন একবার আইসে ব্রজপুরে।
নিকুঞ্জে রহিল এই হিয়ার হেম-ছায়,
পিয়া যেন গলায় পরয়ে একবার।
রোপিনু মল্লিকা, নিজ করে,
গাঁথিয়া ফুলের মালা পরাইও তারে।
তরু-ডালে রইল মোর সাধের শারী-শুকে,
মোর কথা পিয়া যেন শোনে তাদের মুখে।
এই বনে রহিলি তোরা যতেক সজনী,
আমার দুখের দুখী জীবন-সঙ্গিনী।
শ্রীদাম, সুদাম আদি যত তার সখা,
তা সবার সাখে তাঁর হবে পুনঃ দেখা।
দুখিনী আছয়ে তার মাতা যশোমতী
উঠিতে বসিতে তার নাহিক শকতি।
পিয়া যেন তারে আসি দেয় দরশন,
কহিও কানুর পায় এই নিবেদন।
শুনিয়া ব্যাকুল দুতী চলে মধুপুরে,
কি কহিবে শেখর বচন নাহি স্ফুরে।”
আর একটি পদে আছে—
‘‘যাঁহা পহুঁ অরুণ চরণে চলি যাত।
তাঁহা তাঁহা ধরণী হইয়ে মঝু গাত।
যো সরোবরে পহুঁ নিতি নিতি গাহ,
হাম ভরি সলিল হইয়ে তছু মাহ।