অপরে পুনঃ পুনঃ ঘর ও পথে যাতায়াত করিতেছেন। একজন নিশ্চল হইয়া বসিয়া আছেন, উচ্ছৃঙ্খল শাড়ীর আঁচল সংবরণ করিতেছেন না, অপরে করতল দ্বারা বদন অবলম্বন করিয়া আছেন—ইহা একই চিত্রপট।
৭৷ অনুবাদ
রাধা ঘর-সংসার আগ্লাইয়া ছিলেন—সুখের সরঞ্জাম সকলই আছে; সংসারে দশজনের মত সংসারী সাজিবেন, গৃহস্থালী করিবেন—নববধূ রাধার মনে কত সাধ! কিন্তু সহসা কাহার নাম শুনিয়া চমকিয়া উঠিলেন—যিনি তাঁহার আপন হইতেও আপন—এ যে তাঁহার স্বর! সংসার যাঁহাকে পর করিয়া রাখিয়াছে, তথাপি যিনি প্রাণের প্রাণ, যুগ-যুগান্তর ধরিয়া রাধা যাঁহাকে চাহিয়াছিলেন, যাঁহাকে পাইবার জন্য কোন জন্মে কুটীরে কোন জন্মে রাজপ্রাসাদে, কোনবার সন্ন্যাসীর আশ্রমে, কোন বার মুছাফেরখানায়—কত বার কর রূপে ঘুরিয়া বেড়াইয়াছেন–কখনও সেওড়া-গাছকে বিল্বতরু-ভ্রমে পূজা করিয়া নিষ্ফল হইয়াছেন, কখনও বা মালতীহার-ভ্রমে সর্পকে গলায় জড়াইয়া দংশনের জ্বালায় ছটফট করিয়াছেন—কখনও গঙ্গা-ভ্রমে কূপোদকে অবগাহন করিয়া বিষাক্ত জীবাণু দেহে লইয়া আসিয়াছেন, যখন যেখানে গিয়াছেন— “তত্রতত্রাচলাসক্তি”—সেইখানেই আসক্তির মোহে কাঞ্চন বলিয়া কাচকে আঁকড়াইয়া ধরিয়াছেন—আজ সেই চির-অভীপ্সিত জীবন-ধন কৃষ্ণের নাম শুনিয়াছেন—তখনই কাণ সেই নাম চিনিল, নাম কাণের ভিতর দিয়া মর্ম্মে প্রবেশ করিল, প্রাণ আপন জনকে চিনিতে পারিল। এইবার ঘোর দ্বন্দ্ব—সংসার সবে সোণার শিকল গড়াইয়া আনিয়াছে—পায়ে পরাইবে—–ঘোর আসক্তি জন্মিয়াছে—এই সংসার কেমন করিয়া ছাড়িবেন? অপরদিকে যাঁহার নাম শুনিয়াছেন, তিনি যে জগতের সকল