পাতা:পদার্থ বিদ্যা (মহেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য).djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদার্থ বিদ্যা। ২৩ 0 অবস্থায় কোন কোন দ্রব্য যে উত্তাপ নিবন্ধন বিস্তৃত না হইয়া সঙ্কুচিত হয়, তাহার অন্য কারণ আছে। ১৯। স্থিতিস্থাপকতা যে গুণ বশতঃ জড় দ্রব্যের আয়তন কিম্বা আকারের কোনরূপ পরিবর্তন হইলেও, যে বল প্রভাবে ঐ পরিবর্তন হয়, সেই বলের অসম্ভাবে তাহারা পুনরায় পূৰ্ব্বায়তন কি পূৰ্ব্বাকার প্রাপ্ত হয়, তাহার নাম স্থিতিস্থাপকতা। কি কঠিন, কি তরল কি বায়বীয়, সকল প্রকার দ্রব্য চাপ প্রভাবে আকুঞ্চিত হয় এবং চাপ অপস্থত হইলে পূৰ্ব্বায়তন প্রাপ্ত হয়। তাদৃশ অধিক চাপ প্রযুক্ত হইলে অনেক কঠিন দ্রব্যই ভগ্ন ও চূর্ণ হইয়া যায় এবং অনেক বায়বীয় দ্রব্যও তরলাবস্থায় পরিণত হয়। কঠিন দ্রব্য নোয়াইয়া কি বাকাইয়। কি টানিয়া ছাড়িয়া দিলে যে, তাহারা অনেক সময়ে পূৰ্ব্বাকার প্রাপ্ত হয়, তাহার কারণও এই স্থিতিস্থাপকতা । সকল বস্তু সমান স্থিতিস্থাপক নহে ; - রবর, বেত্র, কাচ, গজদন্ত, মার্বল প্রস্তর, ইস্পাত নিৰ্ম্মিত স্ত্রী, এই সকল কঠিন পদার্থ সমধিক স্থিতিস্থাপক। সীসক, গন্ধক, পলি মৃত্তিক ইত্যাদিতে এই গুণ নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। কলিকাতার ভূ-দার্শনিকালয়ে এক খুনি প্রস্তর আছে, তাহাকে নোয়াইতে পারা যায় এবং ছাড়িয়া দিলে পূৰ্ব্ববৎ সরল হয়। তাহাকে নমনীয় বালুকাপ্রস্তর বলে। যদিও কোন কোন কঠিন পদার্থ কোন কোন অবস্থায় বিলক্ষণ স্থিতিস্থাপক বটে, তথাপি তাহারা সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক নহে। কিন্তু তরল ও বায়বীয় পদার্থ সকল স্থিতিস্থাপকতা গুণের উৎকৃষ্ট উদাহরণ স্থল। " •(=