পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমি খণ্ড । هدة لا বিনাশ আছে। এ নিয়ম জগতে চিরপ্রবর্তিত। তোমার পুত্ৰগণই যে কালগ্রাসে নিপতিত হইয়াছে, আর কেহ হইবে না, ইহা কখন হইতে পারে না । দেহিমাত্রেই কালবশে কৃতাস্তের কৃতদাস হইবে । সংসার-সংহারক করাল কালের হস্তে । কাহারও নিস্কৃতি নাই। তুমিও সময়চক্রে প্রেত-পুরের পথিক হইবে । অতএব কি নিমিত্ত বৃথা শোকের অধীন হইয়া এই ক্ষণস্থায়ী অসার শরীরকে আরও ক্ষণভঙ্গুর করিতেছ? শোকের তুল্য শত্রু আর নাই । শোক দেহিগণের সাক্ষাৎ "মৃত্যুস্বরূপ । অতএব শোকের কারণ উপস্থিত হইলেও, ষে ব্যক্তি শোক না করে, সেই প্রকৃত পণ্ডিত ও প্রকৃত বুদ্ধিমান । পরম-পিতা পরমেশ্বরের এই নশ্বর স্বষ্টির মধ্যে, অন্যান্য পদার্থের ন্যায় শোকও কখন চিরস্থায়ী নহে। তুমি এই মুহুর্তে শোকে যেৰূপ অভিভূত হইয়াছ পর মুহুর্তে কখনই সেৰাপ থাকিবে না । ক্রমেই তোমার শোকতাপ ক্ষয়প্রাপ্ত হইতে থাকিবে । অতএব কেন বৃথাশোকের অধীন হইয়া অকারণে শরীরকে নিযন্ত্রিত করিতেছ ? হে শুচিন্মিতে । যাহাদের বোধ ও বিবেচনাশক্তি আছে তাহদের কথা দুরে থাকুক, যাহারা নিতান্ত হীনবুদ্ধি তাহারাও এ বিষয় অনায়াসে বুঝিতে পারে। শোক করিলে কি তুমি তোমার পুত্রগণকে পুনঃ-প্রাপ্ত হইবে ? তোমাকে পূর্বেই বলিয়াছি যে, অনিত্য বিনশ্বর জগতের সকল সম্বন্ধই অলীক ও ক্ষণস্থায়ী। অতএব অলীক ও ক্ষণস্থায়ী পদার্থের নিমিত্ত শোকের চিহ্ন প্রকাশ করা কোনমতে উচিত নহে । সূত কহিলেন, হে দ্বিজসত্তমগণ! মহামনা কশ্যপের এই প্রকার ন্যায়সঙ্গত প্রবোধ-বচন শ্রবণ করিয়া পতিরতা দিতি কখ