পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

జ్యో অর্থ ও পুঞ্জ না থাকিলে সংসারী লোকের যে কি কষ্ট, তাহা তিনি সবিশেষ বুঝিতে পারিয়াছিলেন । একদা তিনি হ্রস্ত চিন্তাভারে আক্রান্ত হইয়া বিষঃবদনে উপবেশন করিয়া আছেন, এমন সময়ে সুমন-নাস্ত্রী তাছার প্রিয়তমা পত্নী তথায় সমুপস্থিত হইয়া পতির তাদৃশ ভগবান্তর নিরীক্ষণ করতঃ কাতরবচনে কছিলেন, নাথ ! কি কারণে আপনি এতাদৃশ শোকাভিভুত হইয়াছেন ? আপনার নিয়ত গ্ৰীতিপ্রফুল্ল-বদনকমল কি জন্য অকস্মাৎ এরূপ মলিন-ভাব ধারণ করিয়াছে ? প্রতিদিন আপনার হাস্যমুখ সন্দর্শন করিয়। আমি. জীবন-মনোরথের সছিত আমার নারীজন্ম সফল করিয়া থাকি । কিন্তু আজি আপনার সেই স্নিগ্ধ মোহন হসিতচ্ছবি কোথায় গেল ? আপনাকে এ প্রকার বিষঃ-ভাবাপন্ন নিরীক্ষণ করিয়া আমার হৃদয়ে যৎপরোনাস্তি যন্ত্রণার উদয় হইতেছে। নাথ ! পতিব্ৰতা রমণী কখন পতির এ রূপ ক্লেশ দশন করিতে পারে না । স্বামীর মানমুখ নিরীক্ষণ অপেক্ষণ পতিগতপ্রাণী অবলার আর কি অধিক দুঃখ হইতে পারে ? প্রভো ! আপনার এরূপ ভাব ত কখন অবলোকন করি নাই । তবে কি কারণ অদ্য আপলার এ প্রকার ভাবান্তর উপস্থিত হইয়াছে ? নাথ ! চিত্তার সমান শরীরশোষক হুঃখ আর নাই । অতএব আপনি সেই সুখশান্তি-বিনাশিনী চিন্তাকে পরিত্যাগ করুন । তাছা ৰুইলে নির্মল-মুখের আস্বাদনে মহম্মাকে স্বর্থী করিতে সক্ষম হইবেন । মহামতি সেীমশৰ্ম্মণ বিষগ্ন-বদনে গদগদ বচমে কহিতে লাগিলেম, প্রিয়তমে । বিধাতা বাজার অদৃষ্টে সুখের লিপি