পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায় । সুমনা কহিলেন, হে স্বামিন এক্ষণে আপনাকে ঋণসম্বন্ধী পুত্রের কথা বলিতেছি শ্রবণ করুন। যদি বেহ বাহারও নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়া তাহা পরিশোধ করিতে না পারে, তাহা হইলে সেই ঋণদাতা পরজন্মে ঋণ-কৰ্ত্তার পুত্ৰ-ৰূপে জন্মগ্রহণ করে। এৰূপ পুত্র স্বভাবতঃ দুৰ্ব্বত্ত ও ক্রুর প্রকৃতি হইয় থাকে । সে জনক-জননীর প্রতি কখন দয়া মমতা প্রকাশ করেনা, কখন কাহারও গুণদর্শন করিতে পারে না, এবং সৰ্ব্বদাই সকলের দোষগ্রহণে তৎপর হইয়া বিনাপরাধে অণয়ীয়গণকে তাড়না ও প্রহার করিয়া থাকে। পরিবারদিগকে বঞ্চনা করিয়। আপনি ইচ্ছামত সুখসম্ভোগে ও স্বার্থসাধনে তৎপর হয় । কখন বা গৃহ হইতে বলপূর্বক দ্রব্যাদি অপহরণ করিয়া পরিবারবর্গকে নানাৰূপে ক্লেশ প্রদান করে । কেহ নিবারণ করিলে ক্রোধে অভিভূত হইয় তাহাকে প্রহর ও নানাপ্রবারে তাড়ন করিয়া থাকে। কখন নিতান্ত নিষ্ঠুরাচরণ-দ্বারা পিতা-মাতআত্মীস্বজনের ঐকান্তিক মৰ্ম্মপীড়া সমুৎপাদন করে। মৃত পিতামাতার উদ্দেশে কখন শ্রাদ্ধতপণাদি সংক্রিয়ার অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হয় না। যাহার বীৰ্য্যে সমুদ্ভূত, যাহার রক্তে সম্বৰ্দ্ধিত ও যাহার অন্নে প্রতিপালিত ; সেই সুেহময় জনক জননীর প্রতি কখন আন্তরিক শ্রদ্ধা বা ভক্তি প্রদর্শন করে না। প্রত্যুত কৃতজ্ঞতায় জলাঞ্জলি প্রদানপুৰ্ব্বক সতত তাহদেরই নিন্দাবাদ করিয়া থাকে । এবং সময়ে সময়ে তাহাদিগকে এই বলিয়া তাড়ন।