পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৩৫

ལྗོབླློ་གྲོགས་ཚྭ་ཌོ་ తe এক্ষণে আপনি এই সকল পৰ্য্যালোচনা করির পুত্ৰ-চিন্তা পরিত্যাগ করুন। আমাদের পরম সৌভাগ্যবশতঃই ইহজন্মে নিরপত্য হইয়াছি। পূৰ্ব্বজন্মে আমরা কাহারও স্থাপ্যখন হরণ বা কাহারও নিকট ঋণগ্রহণ অথবা কাহারও বিপ্রিয়সাধন বা প্রিয়ানুষ্ঠান করি নাই। কিম্বা অপর কেহও আমাদিগকে ন্যাস্তধনে বঞ্চিত বা আমাদের নিকট হইতে ঋণগ্রহণ অথবা আমাদিগের প্রিয়ানুষ্ঠান করে নাই । সেই কারণ-বশতঃই ইহজন্মে আমাদিগকে পুত্র-জন্মরূপ মহদুঃখে আক্রান্ত হইতে হয় নাই । আমি সৰ্ব্বদাই অামাকে পরম সৌভাগ্যশালিনী বলিয়া জ্ঞান করিয়া থাকি। যেহেতু পরম কাৰুণিক পরমেশ্বর আমাকে নিরপত্য করিয়া সংসারের দারুণ যন্ত্রণা হইতে পরিমুক্ত করিয়াছেন। দেখুন, পুত্র উৎপাদনে ক্লেশ, ধারণে ক্লেশ, পোষণ ক্লেশ, এবং শিক্ষাদানে ক্লেশ। আবার সেই পুত্র যদি পিতামাতার বিপ্রিয়াচারী ও দুশ্চরিত্র হয়, তাহা হইলে ক্লেশের আর সীমা থাকে না। অতএব আপনি এই সকল বিবেচনা করিয়া অনর্থক চিন্তা ও বিষাদ পরিত্যাগ করুন । আর আপনি যে দরিদ্র বলিয়া নিরন্তর দুঃখপ্রকাশ করিয়া থাকেন, তাহাও বিফল । কারণ, পূৰ্ব্বজন্মে দান বা সদনুষ্ঠান না করিলে, ইহজন্মে ধনবান হইতে পায় যায় না। আপনি পুৰ্ব্বজন্মে বোধ হয় কোন সৎকার্য্যের অনুষ্ঠান বা কাহাকেও কিছু দান করেন নাই, সেই কারণে ইহজন্মে এই দারুণ দারিদ্র্য-দুঃখ উপভোগ করিতেছেন। অতএব বৃথা চিন্ত৷ করিলে আর কি ফল লাভ হইবে ? মনীষিগণ নির্দেশ করিয়াছেন ৰেণুৰ্ব্বজন্মে যে যাহা দান করে, ইহজন্মে সে তাহাঁই প্রাপ্ত হইয়া