পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ং পথপুরাণ। মেধার পাশ্ব দেশ অলঙ্কৃত করিয়া আছেন, উক্টার নাম প্রজ্ঞা ! এবং ঐ সুবর্ণবর্ণ, নানালঙ্কার-ভূষিতা, মনিকুণ্ডল-ধারিণী, কৌষেয়-বসন, শুভাননা ললনার নাম দয় । ইনি আমার সহধর্মিনী। ত্রিলোকের উপকার ও মঙ্গল সম্পাদনের নিমিত্ত । ইনি প্রতিনিয়ত প্রাণপণে যত্ন করিয়া থাকেন। ইহার ন্যায় কোমল-প্রকৃতি ও নিৰ্ম্মল-স্বভাবা ললনা আর কুত্রাপি দৃষ্টিগোচর হয় না। ইনি ছায়ার ন্যায় সৰ্ব্বদাই আমার অনুসরণ করিয়া থাকেন। ষেখানে আমি সেই স্থানেই দয়া এবং যে স্থানে দয়া সেই স্থানেই আমার অধিষ্ঠান। আমারই নাম ধৰ্ম্ম । তোমাকে দেখিবর নিমিত্ত সপিরিবারে এখানে আগমন করিয়াছি। এক্ষণে তুমি শান্তির আশ্রয় গ্রহণ করিয়া সৰ্ব্বতোভাবে অপমাকে প্রতিপালন কর । সুমনা কহিলেন, নাথ ! ধন্মের নাম শ্রবণমাত্র, মুনিসত্তম দুৰ্ব্বাসার আপতিত রোষভার বিদূরিত হইল। তিনি তখন ধৰ্ম্মকে সম্বোধন কৃতঃ প্রয়ত বাক্যে কহিলেন, ভগবন্‌ ! আপনার দর্শন-লাভে তামি কৃতার্থম্মন্য হইলাম। এক্ষণে আপনার আগমনের কারণ নির্দেশ করিয়া আমার কৌতুহল চরিতার্থ করুন | ধৰ্ম্ম কহিলেন, হে দ্বিজোত্তম ! তোমার ঈদুশ রোষাবেশের কারণ কি ? কেহ যদি তোমার কোনৰূপ বিপ্রিয়ানুষ্ঠান করিয়া থাকে, তাহা হইলে তাঙ্গা আমার নিকট সবিশেষ প্রকাশ করিয়া বল । á 曲 | দুৰ্ব্বাস কহিলেন, ভগবন! আপনার অনুগ্রহে ও পূৰ্ব্বপুরুষের আশীৰ্ব্বাদে এবং স্বীয় অনন্যসাধারণ তপোবলের প্রসাদে ত্রিলোকের মধ্যে কেহই আমার বিপ্রিয়-সাধন করিতে