পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদ্মপুরাণ } পুর্ঘ্য-সঞ্চয় সহজসাধ্য নহে। দুর্কিসহ ক্লেশভার বহন করিতে না পারলে, নিত্য-মুখ-শাস্তির আকর পুণ্যরাশি উপার্জন করিতে পারা যায় না। কেহ কেহ আজীবন কঠোর ক্লেশ ভোগ করিয়াও পুণ্য-লাভে সমর্থ হয় না। কিন্তু পুণ্যমুষ্ঠান করিতে করিতে যাহার প্রাণ বিয়োগ হয়, পরলোকে তাহার সুখের সীমা থাকে না । ফলতঃ পুণ্যের পুরস্কার পরলোকেই প্রাপ্ত হইয়া থাকে। ইহলোকে উহা প্রাপ্ত হওয়া ছুঘটে। অতএব তুমি এই সমস্ত পরিকলন করিয়া আত্মবিনাশ কর ক্রোধকে পরিত্যাগ কর । Ç মহাপ্রভাব ধৰ্ম্ম এই বলিয়া বিনিবৃত্ত হইলে, মুনিসত্তম দুৰ্ব্বাস কহিলেন, হে ভগবন! লোকে যে দেহে দুৰ্ব্বিসহ ছুঃখভার বহন করিয়া থাকে, সেই দেহের অবসানে দেহান্তরে সুখভোগ করিবে এ আপনার কিৰূপ বিধান ? আপনি কি কারণে অদৃশ্য শরীরকে সুখ-ভোগায়তন বলিয়া নির্দেশ করিতেছেন ? একে ক্লেশ-পরম্পরা সহ্য করবে, আর অপরে সুখভাগী হইবে, এ আপনার কিৰূপ ব্যবস্থা ? লোকে যদূর ক্লেশভার বহন করিবে, তাহারই সুখ-ভোগ বিধেয়। আবার বিবেচনা করিয়া দেখুন, সেই মুখ যে কি তাহাও কেহ সম্যক পরিজ্ঞাত নহে। এরূপ স্থলে, কোন ব্যক্তি পুণ্যসঞ্চয়ে অভিলাষী হইবে ? লোকমাত্রেই সুখের অন্বেষণ করিয়া থাকে। একমাত্র মুখের প্রত্যশায় লোকে পুণ্যানুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইয়া নানাপ্রকার দুঃখভার বহন করে। কিন্তু তাঙ্গদের সেই ক্লেশবাহী দেহ যে পরিণামে মুখভাগী হইবে না, এ কথা জানিতে পারিলে কি তাহারা ঐরূপ দুঃখপরম্পরা ভোগ করিয়া পুণ্যানুষ্ঠানে অভিলাষী বা উৎসাহী হয় ? মরিলে কি হইবে, কেহই তাহ অবগত নহে।