পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমি খণ্ড । $83 যে মহাত্মা এইরূপ প্রতিনিয়ত দানদ্বারা অপরের অভাব মোচন করিয়া থাকেন, তিনি ইহ ও পরলোকে অক্ষয় সুখরাশি উপভোগ করিতে সক্ষম হয়েন। পরম পিতা পরমেশ্বর স্বয়ং তাহার সমস্ত অভাব পূরণ করিয়া থাকেন। এবং তিনি ইহজন্মে দেবতার ন্যায় পূজিত হইয়া চরমে পরম গতি লাভ করেন। র্তাহার ন্যায় সৌভাগ্যশালী পুরুষ জগতে আর দেখিতে পাঞ্জা যায় না। অতএব দানের তুল্য সুহৃদ সংসারে আর নাই। অতঃপর নিয়মের স্বৰূপ শ্রবণ করুন । সৰ্ব্বদা শ্রদ্ধাভক্তিসহকারে দেব-দ্বিজের পূজা ও সৰ্ব্বতোভাবে তাহাদের অনুরাগ ও প্রীতি সম্পাদনে চেষ্টা, শুদ্ধ ও সংযতচিত্তে দানাদি সৎকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান এবং প্রাণপণে পরোপকার-সাধন ও পুণ্যসঞ্চয়ে যত্নশীল হওয়াকেই নিয়ম বলিয়া কথিত হইয়া থাকে। নিয়ত না হইলে কেহ কখন কোন কার্য্যে সিদ্ধি লাভ করিতে সক্ষম হয় না। নিয়মই সৰ্ব্বসিদ্ধি ও সৰ্ব্বমুখের আকর। নিয়মই সকলের মুল। একমাত্র নিয়ম-দ্বারাই এই নিখিল বিশ্বসংসার পরিচালিত ও পরিবৰ্দ্ধিত হইতেছে। অতএব মনুষ্যমাত্রেরই সৰ্ব্বথা নিয়মাবলম্বী হইয়া সত্যপথে বিচরণ করা কর্তব্য। তাহ হইলেই তাহারা আশানুৰূপ ফল প্রাপ্ত হইয়া সুখভাগী হইতে পরিবে । অতঃপর ক্ষমার বিষয় শ্রবণ করুন | সুমনা কছিলেন, নাথ! এই ক্ষমার তুল্য গুণ নাই। ক্ষমাই বিশ্বসংসারের ধারণকত্রী। ক্ষমাবানু পুরুষ পরমেশ্বরকেও পরাজিত করিতে পারে। যে মহাত্মা অপকারী ব্যক্তির প্রত্যপকার সাধনে প্রবৃত্ত নহেন, কেহ তাহার বিপ্রিয়ানুষ্ঠান করিলে অকাতরে তাহ সহ্য করিয়া থাকেন, কোন কারণে কাহারও ఇు যাহার বিরাগ বা বিদ্বেষ ভাব উপজাত না হয়, কেহ