পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te পজপুরাণ ! অভিদ্রোহ করিলে যিনি প্রত্যভিদ্রোহে পরাজুখ হইয়া ধৈৰ্য্য ও সহিষ্ণুতা অবলম্বন পূর্বক অভিমান ও অক্রেশশূন্য-হৃদয়ে জড়ের ন্যায় অবস্থান করেন, ইহ-জগতে তিনিই যথার্থ ক্ষমাশীল। জগৎপাতা জগদীশ্বর সর্বদাই তাহাকে আপন প্রসাদ বিতরণ করিয়া থাকেন। এবং তিনি ইহ-পর উভয়লোকেই অতুল সুখৈশ্বর্জ্য সম্ভোগ করিতে সক্ষম হয়েন । লোকের অপকার সহজেই করিতে পারা যায়, কিন্তু প্রত্যপকণর সাধনে বিরত হওয়া অতীব দুঃসাধ্য । মনীষিগণ প্রতীকশর-সমথে অপকারসহনকেই ক্ষমা বলিয়া নির্দেশ কবিয়া থাকেন। যাহারা ক্ষমাগুণের তাণধার, তাহারা সৰ্ব্বতোভাবে পরম-পিতা পরমেশ্বরের প্রিয়পাত্র হইয়া থাকেন। কিন্তু যাহার ক্ষমাগুণ-বিবজ্জিত, তাহারা ঈশ্বর- বিরোধী। তাহারা কোনকালে কোন লোকে সুখশান্তি উপভোগ করিতে পারে না । এৰূপ পাপপ্রকৃতি তুরাচারগণ অনন্তকাল অনন্ত দুঃখসাগরে ভাসমান হইয়া থাকে। তাহদের কোন কালেই উদ্ধার নাই । অতএব মনুষ্যমাত্রেরই সর্বেবাতোভাবে ক্ষমাপর হওয়া সৰ্ব্বদা কর্তব্য । এক্ষণে শেীচের স্বরূপ বলিতেছি, শ্রবণ করুন। যে সদাত্মা হৃদয় হইতে বিষময় বিষয়-বাসনা নিরাকৃত করতঃ পরিবাদ-বুদ্ধি পরিহারপূর্বক দুরভিসন্ধিশুন্য হইয়া কাহারও বিদ্রোহামুশীলন না করেন, তিনিই যথার্থ শৌচবান বলিয়া পরিগণিত হইয় থাকেন। এবং র্যাহার চিত্তপরিশুদ্ধ, প্রকৃতি সরল, পরদ্বেষ, পরহিংসা বা পরানিস্ট সাধন যাহার মনোমধ্যে কখন স্থান প্রাপ্ত হয় না, যিনি আচারবান হইয় ঐকান্তিক নিষ্ঠাসহকারে প্রতিনিয়ত সৎকার্যের অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন, মনীষিগণ তাহাকেই প্রকৃত শৌচবাৰু বলিয়া নির্দেশ করেন।