পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ অধ্যায়। সোমশৰ্ম্ম কহিলেন, হে ভদ্রে! তুমি এবম্বিধ সুমহৎ-পুণ্যপ্রদ এই অনুত্তম ধৰ্ম্ম ব্যাখ্যা কিরূপে কাহার নিকট হইতে শ্রবণ করিলে? সুমনা কহিলেন, হে মহামতে! আমার পিত সুপ্রসিদ্ধ ভাগবকুলে জন্মগ্রহণ করেন। তাহার নাম চ্যবন এবং তিনি সৰ্ব্বজ্ঞানবিশারদ ছিলেন। আমি র্তাহার প্রিয়কন্যা ছিলাম। তিনি তীর্থ-দেবায়তন প্রভূতি যে স্থানে যখন গমন করিতেন, আমাকে সমভিব্যাহারে লইয়া যাইতেন। আমিও র্তাহার সহিত তত্তৎ ভূমিভাগ দর্শন ও ইতস্ততঃ ক্রীড়া করিয়া বেড়াইতাম । একদ কৌশিক বংশ-সন্তু তবেদশম্ম নামে মহামতি ব্রাহ্মণ বিষন্নবদনে পিতার নিকট আগমন করিলেন। তিনি পিতার পরম সুহৃদ ছিলেন। পিতা তাহার তাদৃশী অবস্থা অবলোকন করিয়া, দুঃখিত হৃদয়ে প্রিয়বচনে কহিলেন, সুত্ৰত! তোমাকে নিতান্ত দুঃখিতের ন্যায় বোধ হইতেছে। কি কারণে তোমার ঈদৃশ দুঃখ উপজাত হইয়াছে, তাহা আমার নিকটে বর্ণন কর। মহাত্মা চ্যবনের এই বাক্য শ্রবণ করিয়া, মহাপ্রাজ্ঞ বেদশৰ্ম মদীয় জনকের নিকটে তাহার দুঃখের কারণ বলিতে লাগিলেন। বেদশৰ্মা কহিলেন, হে ব্ৰহ্মনৃ! আমার ভাৰ্য্যা নিরতিশয় সান্ধী ও একান্ত পতিব্ৰতপরায় । কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ তিনি অপুত্র হইয়াছেন। আমার বংশে পুত্রাদি কেহই নাই। অতএব এতদিনে ৰিপুল কৌশিক-বংশ একেবারে বিলুপ্ত হইবার সম্ভাবনা