পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

琉 फूमि ५७ ।। S&é t চর্চায় মনোনিবেশ করুন। তাহা হইলেই আপনার সকল অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে। সোমশৰ্ম্ম কহিলেন, প্রিয়তমে ! তোমার মুখে সাঙ্গধন্মের স্বৰূপ শ্রবণ করিয়াছি। এক্ষণে, ধৰ্ম্ম-চর্চা করিলে কিরূপে জন্ম-মৃত্যু হয়, শুনিতে অভিলাষ হইতেছে। সুমনা কহিলেন, নাথ ! ধৰ্ম্ম-চর্চা করিলে যেৰূপ জন্মমৃত্যু হয় বলতেছি, শ্রবণ করুন। ধন্মের প্রভাব অসামান্য । যাহারা একান্ত-চিত্তে প্রতিনিয়ত ধন্মের উপাসনা করেন, তাহদের মর্ত্যভাব বিগলিত হইয়া, দেবভূব উপজাত হইয়া থাকে। ধৰ্ম্মান্না মহামতিগণকে কখন রোগ-শোক-পরিতাপাদির ভীষণ যন্ত্রণ উপভোগ করিতে হয় না। র্তাহারা সৰ্ব্বদাই তেজস্বী, সচ্ছন্দ ও হৃষ্টচিত্ত। তাহদের মৃত্যুকালে গতিজ্ঞান-বিশারদ বিদ্যাধর, গন্ধৰ্ব্ব ও ব্রাহ্মণগণ সকলে সমাগত হইয় তাহদের স্তুতিপাঠ করিতে থাকেন। এবং তাহারা যেৰূপ স্থানে অধিষ্ঠান করিয়া ধৰ্ম্মচর্চা করিয়া থাকেন, মৃত্যুসময়ে তাহার সেইৰূপ স্থানপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন। অর্থাৎ যাহার দেবপূজাপরতন্ত্র হইয়া সুস্থ ও যোগযুক্তহৃদয়ে একান্তচিত্তে তীর্থস্থানে অধিষ্ঠানপুৰ্ব্বক ধৰ্ম্মচচ্চায় প্রবৃত্ত হয়েন, তাহার মৃত্যুসময়ে তদপযুক্ত স্থান প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। যাহারা অগ্ন্যাগারে, গোচরণ স্থানে, দেবায়তনে, বৃক্ষমূলে, এবং অশ্ব বা গজ-স্থানে অধিষ্ঠানপূর্বক ধন্মোপাসনায় প্রবৃত্ত হয়েন, র্তাহারা মৃত্যুকালে তাদৃশ পুণ্যস্থান প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। যাহারা অশোক ও সহকার বৃক্ষতলে, ব্রাহ্মণগণের সমীপে অথবা রাজ-নিকতনে অধিষ্ঠান-পূৰ্ব্বক একান্তচিত্তে ধৰ্ম্ম-চর্চা করেন, তাহারা তাদৃশ পুণ্যতম প্রদেশে প্রাণত্যাগ করিয়া থাকেন। ফলতঃ ধৰ্ম্মপরায়ণ সাধুৰ্যক্তিগণ