পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

الے আশ্রমে গমন করতঃ সৰ্ব্বশাস্ত্রবেত্তা, পিতাম্বর, তেজো-জ্বালা, সমাকীর্ণ প্রদীপ্ত-দিবাকরসন্নিভ, বশিষ্ঠদেবকে সন্দর্শন করিয়া ই একান্তচিত্তে সাষ্টাঙ্গে তাহকে প্রণাম করিলেন। অনন্তর পবিত্র আসনে উপবেশন করিয়া মহাভাগ বশিষ্ঠদেবকে আত্মপরিচয় প্রদান করিলে, যোগিবরাগ্রগণ্য মহাতেজ বশিষ্ঠদেব কহিলেন, বৎস! তোমার গৃহে, পুত্রে, ভূত্যে এবং যাবতীয় পুণ্যকর্মে ও অগ্নিত্রয়ে সৰ্ব্বথা মঙ্গল ত ? এই বলিয়া পুনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, হে দ্বিজোত্তম । এক্ষণে আমাকে তোমার কি প্রিয় কাৰ্য্য করিতে হইবে, বল । মুনিপুঙ্গ মহাভাগ বশিষ্ঠের এই প্রকার বাক্য শ্রবণ করিয়া, দ্বিজোত্তম সোমশৰ্ম্ম কহিলেন, হে মুনিসত্তম । যদি আপনি আমার প্রিয়সাধন করিতে একান্ত অভিলাষী হইয়া থাকেন, তাহ হইলে আমি বলিতেছি, শ্রবণ করুন। আমি এমন কি মহাপাপে এই সমুহ-দারিদ্র্য-দুঃখে নিপতিত ও পুত্ৰ-মুখাবলোকনে বঞ্চিত হইয়াছি ? তাহাই অবগত হইবার নিমিত্ত পত্নী-সুমন-কর্তৃক প্রেষিত হইয়া ভবদন্তিকে আগমন করিয়াছি। হে মহাভাগ ! আপনি আমার এই দারূণ সন্দেহরাশি নিরাশ করিয়া আমাকে সংসার-বন্ধন হইতে মুক্তি-লাভ করিবার উপায় নির্দেশ করুন। বশিষ্ঠদেব কহিলেন, হে দ্বিজোত্তম! পুত্র, মিত্র, ভ্রাতা ও অন্যান্য স্বজন-বান্ধব প্রভূতি সংসারের সম্বন্ধ-বন্ধন কেবল পঞ্চবিধ ভেদ-বশতঃই সংঘটিত হইয়া থাকে। প্রজ্ঞাবতী সুমন পূৰ্ব্বেই এ সমস্ত বিষয় তোমার নিকট যথাযথ বর্ণন করিয়াছেন। সমুদায় কুপুত্ৰই ঋণ-সম্বন্ধী। একমাত্র পুণ্যবলেই কেবল সৎপুত্র লাভ করিতে পারা যায়। ঐ রূপ সৎপুত্রের লক্ষণ সমুদায় আমি তোমার নিকট মানুপুৰ্ব্বিক কীর্তন করিতেছি প্রবণ কর।