পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৬৭

कूवि थे.७ $9&? রাশি প্রাপ্ত হইলেও, তোমার তৃষ্ণানল কিছুতেই নির্বাপিত হইত না । অনলে ঘৃতাহুতি দেওয়ার ন্যায় অনবরত অর্থসমাগমে উহা দিন দিন পরিবৰ্দ্ধিত হইয়া তোমার নিরতিশয় দুঃখের কারণ সমুৎপাদন করিত। সঞ্চিতাৰ্থ-অপচিত হইবার ভয়ে তুমি উহা কাহাকেও দান বা নিজেও উপভোগ করিতে পারিতে না । পুত্ৰগণের অজ্ঞাতভাবে সেই সমুদায় অর্থরাশি ভূমি মধ্যে প্রোথিত করিয়া রাখিতে। এবং যখন যাহা প্রাপ্ত হইতে, তৎক্ষণাৎ তাহ সকলের অজ্ঞাতসারে গুপ্তভাবে রক্ষা করিয়া, পুনরায় পরাগমের উপায় কম্পনায় প্রবৃত্ত হইতে । স্বয়ং ভোগ-বাসনায় বিরত হইয়া, অন্যকেও তাহা হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইতে উপদেশ প্রদান করিতে। তুমি তুষ্ণ্যদ্বারা বিমোহিত হইয়া অহোরাত্র কেবল অর্থ-চিন্তাতে যাপন করিতে। কখন অধর ও হতচেতন হয় স্পর্শমণি লাভে ধাবমান হইতে, কখন ব: তৃষ্ণমিলে নিতান্ত দহমান s হইয়া ধন-লাভ-প্রত্যাশায় ভূগর্ভে প্রবেশ করিবার উপায় কল্পনা করিতে। কখন তুষ্ণাবঙ্কি-বিদগ্ধ-হৃদয়ে অকারণে হাহাকার করিতে, কখন বা ধনাগম-সাধন-মন্ত্র-পরম্পরা-পরিকলন-পুরঃসর অপার বারিধি-পারে গমন করিতে অভিলাষী হইতে । হে বিপ্রেন্দ্ৰ ! এইরূপ মিথ্যা-মোহে সমাচ্ছন্ন ও তৃষ্ণানলে নিয়ত দহমান হইয়া তুমি জীবলীলার পরিসমাপ্তি করিলে । মৃত্যুকালে দারা ও পুত্ৰগণ বারম্বার জিজ্ঞাসা করিলেও, তুমি তাহদিগকে গুপ্তধনের বিষয় কিছুই বলিলে না । এইৰূপে পূৰ্ব্বজন্মে তুমি প্রভুত ধনরশি উপার্জন করিয়াও, আত্মা ও দারাপুত্রআল্পীয়-স্বজনকে তাহাতে বঞ্চিত করিয়াছিলে। সেই কারণে ইছজন্ধে এ প্রকার দরিদ্র ও নির্জন হয় জন্মগ্রহণ করিয়াছ।