পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায় সুত কহিলেন, পতিব্ৰতা দিতি মহাবল বলের সংহার বার্তা শ্রবণ করিয়া, হাছাকার করুণস্বরে ছায় আমার অতিমাত্র কষ্ট উপস্থিত হইল বলিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। তপস্বিনী দিতি বহুক্ষণ এই প্রকার সকরুণ বিলাপ করিয়া, পতি কশ্বাপের সকাশে সমাগত হইয়া কহিলেন, দ্বিজ । শ্রবণ করুন। মদীয় ব্ৰহ্মলক্ষণসম্পন্ন মহাবল পুত্র বল সাগরতীরে সন্ধ্যাবন্দনায় সমাসীন ছিলেন, ভবদীয় পুত্র পাপাত্মা দেবরাজ বজ-দ্বারায় তাহার সংহার করিয়াছে। কশ্যপ শ্রবণমাত্র অতিমাত্র রোষাবিষ্ট হইলেন এৰং ক্ৰোধভরে প্রজ্বলিত হইয়া উঠিলেন। অনন্তর কোপ-সহকারে এক গাছি জটা ছিন্ন করিয়া, অগ্নিতে নিক্ষেপ করিলেন, এবং কছিলেন, এই জটা ইন্দ্র-বিনাশী গুহ্মের উৎপাদন করুক। তাহাতে সেই কুণ্ডময় হুতাশন-মুখ হইতে তৎক্ষণাৎ কৃষ্ণাঞ্জনচয়সন্নিভ, পিঙ্গাক্ষ, ভীষণাকৃতি, দংষ্ট্রাকরালবদন, জগদ্ব-বিত্ৰাসক, মহাতেজ, ভৈরবমুর্তি, খড়গচৰ্ম্মধর এক মহাপুরুষ প্রাদুর্ভূত হইল। মহামেঘোপম মহাবল তেজঃপ্রদীপ্ত পুরুষ প্রাদুভূত হইয়া কছিল,আদেশ করুন, কি জন্য আমাকে সৃষ্টি করিলেন। সুত্ৰত ! আমি আপনার প্রসাদে তাহ সম্পাদন করিব । কশ্যপ কহিলেন, পুত্র ! তোমাকে আমার ও দিতির মনোরথ পূরণ করিতে হইবে। মহাপ্রাজ্ঞ ! তুমি এই