পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¥बैि पं● | . . .. ४४४ সৰ্ব্বদাই বৃত্রের ছিদ্র অন্বেষণ করিতে লাগিলেন। কিন্তু দিবারাত্র নিরবচ্ছিন্ন চিন্তা করিয়াও মহাত্মা বৃত্রের কোন প্রকার ছিদ্র দেখিতে পাইলেন না। অনন্তর অপূৰ্ব্ব-হাব-ভাব-বিলাস-সম্পন্ন মনোজ্ঞা রম্ভাকে আহ্বান পূর্বক কহিলেন, রম্ভে! যে কোন উপায়ে হউক তুরায় দানবরাজের জীবন বিনাশ করিতে হইবে । অতএব এক্ষণে তুমি যে কোন প্রকারে সেই পাপ প্রকৃতি অমুররাজের মোহসমুৎপাদনে যত্নবর্তী হও । রম্ভ শক্র কর্তৃক এই প্রকার আদিষ্ট হইয়া কপেপাদপসেবিত দিব্য নন্দনকাননে গমন করিল। ঐ অরণ্য বহুবিধ পুপফলে সুশোভিত, নানাপ্রকার মৃগবিহঙ্গম পরিপূর্ণ, এবং ভ্রমরগণের গুঞ্জনে ও কোকিলগণের কলনিনাদে রবে সৰ্ব্ব মধুরায়িত। ফলতঃ উহার সৰ্ব্বত্র পিক ও সারঙ্গনিনাদ সৰ্ব্বত্র কুসুমশোভা এবং সৰ্ব্বত্র দিব্য চন্দনৰ্বক্ষ পরম্পরা বিরাজমান। অধিকন্তু ঐ অরণ্য দেবগন্ধৰ্ব্ব, সিদ্ধচারণ, কিন্নর ও ঋষিগণে এবং দিব্য দেবোদ্যানে পরিশোভিত অপসরগণ ও বিবিধ কৌতুকমঙ্গল সমাকীর্ণ; হেমময় প্রসাদ-সম্বাধ, ছত্র-চামর-দণ্ড, নিশ্চয় ও পতকাদিতে সৰ্ব্বথা অলঙ্ক ত এবং উহাতে প্রতিনিয়ত বেদধ্বনি ও গীতধ্বনি সমুথিত হইতেছে। চারুহামিনী বিলাসিনী রম্ভ এবভূত নন্দন-কাননে প্রবেশ পুৰ্ব্বক অপসরোগণ সমভিব্যাহারে ক্রীড়া করিতে লাগিল । এইৰূপ কেলিকলাকৌতুকে কিছুকাল অতীত হইলে, দৈত্যপতি বৃত্র কতিপয় দানৰ-সহচর-সহ হৃষ্টান্তঃকরণে কালপ্রেরিতের ন্যায় কানন-প্রদেশে প্রবেশ করল। সুরপতি শচিনাথ এতাবৎ কাল কেবল তাহার ছিদ্র অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছিলেন। এক্ষণে অবসরকাল উপস্থিত দেখির অজ্ঞাতসারে