পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমি খণ্ড $$$' “বর অপুর্ব হাবভাব-বিকশি-বিস্তার করিয়া কামপ্রণয়ণী রতি অথবা হরিপ্রিয়া কমলার ন্যায় শোভা ধারণ করিয়াছে । মহাবল দানবরাজ সেই অপূৰ্ব্বরূপলাবণ্যসম্পন্ন সম্পূর্ণ হাবভাৰবিলাসবতী রম্ভাকে সন্দর্শন করিয়া চিন্তা করিতে লাগিল, দুরন্ত কুমুমচাপের বিষম কুমুমশরসন্ধানে আমার হৃদয় জর্জরীভূত হইতেছে । আমি আর কোনরূপে ধৈর্য্য ধারণ করিতে পারিতেছিনা । এই রমণীরত্ব লাভের নিমিত্ত আমার হৃদয় নিতান্ত আকুল হইতেছে। অতএব যে কোনৰূপে হউক, অদ্য ইহাকে লাভ করিব । সে এইরূপ ও অন্যৰূপ নানাপ্রকার চিন্তা করিয়া দ্রুতগতিসঞ্চারে চারুলোচনা স্মেরমুখী রম্ভা-সন্নিধানে সমুপস্থিত হইয়া প্রিয়-সম্ভাষণে কহিল, সুলোচনে ! তুমি কে ? কি নিমিত্তই বা এখানে আগমন করিয়াছ ? জগতে কি নামে অভিহিত হইয়া থাক ? এবং কোন মহাত্মাকেই বা তোমার ঐ সুকোমল করপল্লব প্রদান করিয়া তাহকে চির-সৌভাগ্যমান করিয়াছ ? তাহা আমাকে সবিশেষ বর্ণন কর । যদিও তুমি অতিমাত্র তেজস্বিনী, তত্ৰাচ তোমার ঐ অসামান্য ৰূপলাবণ্যে একান্ত মুগ্ধ হইয়া তব প্রেমপিপাসা-ব্যাথিত-হৃদয়ে ত্বদন্তিকে আগমন করিয়াছি। হে চাৰ্ব্বঙ্গি ! অনঙ্গরাজ আমার হৃদয় জর্জরীভূত করিতেছে। অতএব তুমি অামাকে ভজনা কর । ... কামোন্মত্ত দানবপতির এই বাক্য শ্রবণ করিয়া চারুহাসিনী রম্ভ। স্বীয় ছলনাজাল-বিস্তর-পূর্বক ঈষদ্ধাস্যে কহিল, মহাভাগ ! অামি মুরনওঁকী রম্ভ, কেলিকৌতুকপ্রসঙ্গে ক্রীড়া করিতে করিতে সঙ্গিণীগণের সঙ্গে এই নয়াননন্দদায়ক পরম রমণীয় নন্দনকাননে আগমন করিয়াছি। मैडूव এখানে অগমন করিবার অন্য কোন কারণ নাই। যাহা হউক আপনি কে এবং কি নিমিত্তইৰ,