পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/২১৬

3.>S পদ্মপুরাণ । ছইয়াছিল । ঐ প্রথম উৎপন্ন স্থত এবং মাগধকে সম্বোধন - করিয়া ঋষিগণ বলিলেন তেণমরণ এই রাজশর স্তব কর । যে হেতু ইনিই সৰ্ব্বপ্রকারে তোমাদিগের দ্বারা স্তুত হইবার যোগ্য ৷ এই কথা শুনিয়া সুত ও মাগধ উভয়ে মিলিত হইয়া ঋষিদিগকে বলিল অমর। অগত্মকৰ্ম্ম দ্বারা দেবতা ও ঋষিদিগের প্রীতি সম্পাদন করিব । আমরা এই রাজার কৰ্ম্ম লক্ষণ ও যশ কিছুই অবগত নহি, তবে কিরূপে এই মহাজুরি স্তব করব । গুণসকল বিশেষরূপে বিদিত না হইলে কিরূপে স্তব করা সম্ভব হইতে পারে । এই কথা শুনিয়া মহাত্মা ঋষিগণ স্থত ও মাগধের নিকট সেই মহাত্মা পৃথুর গুণকীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন । মহাত্মা পৃথু যে সকল কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন এবং তাঁহাতে ভবিষ্যতে যে সকল গুণ হুইবে সেই সমুদয় কীৰ্ত্তন করিয়া তাহার স্তব করিতে বলিলেন । ঋষিগণ বলিলেন, মহাত্মা পৃথু সত্যজ্ঞান এবং বুদ্ধিসম্পন্ন, তাহাতে ভ্ৰম একেবারে লক্ষিত হয় না । । তিনি শূর, গুণগ্রাঙ্গী, পুণ্যবান, দানশীল এবং নিজেও গুণী । পৃথু সৰ্ব্বদা ধৰ্ম্মপরায়ণ সত্যবাদী এবং বিবিধ যজ্ঞের অমুঠাতা । তাহার বাক্য অতি মধুর, সত্যবাদীকে অত্যন্ত ভাল বাসেন । যিনি সর্বত্র গমন করিতে সক্ষম, এবং অর্থীদিগকে সমুদয় অভীপিত প্রদান করেন । তাছার নিকট কোন তত্ত্বই অবিদিত নাই যিনি অত্যন্ত বুদ্ধিশালী এবং বেদ বেদান্তপারদর্শী। তিনি নানাবিধ বুদ্ধির বিধান- , কৰ্ত্ত এবং সংগ্রামে বিজয়ী । সেই সৰ্ব্বধৰ্ম্মসম্পন্ন মহাত্মা পৃথুই পৃথিবীতে রাজস্থয়-যজ্ঞের আহর্তা। ঋষিগণ কর্তৃক