পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/২১৭

छूमि ५७ 1 * ." এইরূপে প্রণোদিত হইয়। স্বত ও মাগধ মহারাজ পুপুর গুণ সমুদয় কীৰ্ত্তন করিয়া স্তব করিতে আরম্ভ করিল। সেই অবধি জগতে স্তোত্রদ্বারা মনুষ্যের তুষ্টি-সাধন ব্যবসায়ের সৃষ্টি হইল । এবং স্তাবকের পুণ্যানুসারে পরিতোষিক দানের পদ্ধতিও প্রবর্তিত হইল। মহাত্মা পৃথু স্তবে সন্তুষ্ট হইয়। সুত, মাগধ, বন্দী এবং চারণ দিগকে তিলঙ্গ দেশ প্রদান করিলেন । পৃথুর প্রসাদে হৈহয় নামে কোন নৃপনন্দন হৈছয়নামক দেশের আধিপত্য প্রাপ্ত হইয়া নৰ্ম্মদা নদীর তীরে রাজধানী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । নরপতি পৃথু যজ্ঞানুষ্ঠান সময়ে ব্রাহ্মণ দিগকে প্রচুর দক্ষিণ প্রদান করিয়াছিলেন । প্রজানিচয় এবং তপোনিষ্ঠ মুনিগণ পৃথিবীপতি পৃথুকে সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বপ্রদ এবং তা সাধারণ ধৰ্ম্মপরায়ণ দেখিয়া পরস্পর বলিয়াছিলেন, এই মহামতি ভূপতি দেবতা দিগের অবধি বৃত্তি স্থাপন করিতেছেন আমাদের ত কথাই নাই । ইনি প্রজাদিগকে ন্যায়ানুসারে প্রতিপালন করিবেন এবং সকলের বৃত্তি রক্ষণ করিবেন । এইরূপে মহামতি পথু অতি মুখ্যাতির সহিত রাজ্যপালন করিতে লাগিলেন ৷ ‘ কোন সময় প্রজাগণ জীৰিক নির্বাহাৰ্থ যে সকল বীজ বপন করিয়াছিল, পৃথিবী সেই সকল গ্রাস করিয়া স্থির ভাবে রছিলেন । অনস্তর প্রজাগণ ত্ৰাহি ত্ৰাছি বলিয়া চীৎকার করত পৃথুর নিকট উপস্থিত হইলেন । মহর্ষির কাতরস্বরে বলিলেন, হে মহারাজ ! পৃথিবী প্রজাদিগের অন্নসকল ভক্ষণ করিয়া নিশ্চলভাব অবলম্বন করিাছেন । এক্ষণে প্রজাদিগের মধ্যে মহৎক্ষয় উপস্থিত দেখিতেছি । নরাধিপ পৃথু মহর্ষিগণের ছতাশবাক্য-শ্রবণে ক্ৰোধে অধীর হইয়া ধনুৰ্ব্বাণ গ্রহণ