পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/২২

পদ্মপুরাণ । ’ ক্টাল তথtয় ভাবস্থান করিতে পারি। শিবশৰ্মা ও তথ্যস্ত খলিয়া তাহাদিগকে স্বাভিলষিত বর প্রদান করিলেন । ব্যাসদেব কছিলেন, হে সূত ! মহাত্ম। শিবশৰ্ম্ম। সেই প্রকার আশীৰ্ব্বাদ ও বর প্রদান করি বা মাত্ৰ গগনমণ্ডল অকস্মাৎ জ্যোতিৰ্ম্ময় হইয়া উঠিল, এবং শঙ্খচক্র-গদা-পদ্মধারী, মণি-কুণ্ডল-সমন্বিত, নীল-নীরদ কান্তি ভগবান গরুড়বাহন বিষ্ণু সেই মুহুর্তে র্তাহীদের সম্মুখে আবির্ভ ত হইয়। সাদর সম্ভাষণে কহিলেন, হে মহাত্মন! তোমাদের পিতাপুত্রের এই প্রকার অসাধারণ ভক্তি সন্দর্শনে আমি পরম প্রীতি লাভ করিয়াছি । এক্ষণে তোমরা সকলে আমার সহিত ক্ষয়-প্রলয়বর্জিত বিষ্ণুলোকে ভাগমন কর । ভগবান বিষ্ণুর সেই প্রকার বাক্য শ্রবণে মহামতি শিবশস্ম ভক্তিবিষ্ফারিত-লোচনে গদগদ বচনে কহিলেন, হে ভগবন ! ভাপনি একান্ত ভক্ত বৎসল বলিয়াই আমরা তাদ্য আপনার দর্শনলাভে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি । এই পুত্রবর্তী পতিব্ৰত। ভার্ষ্য ও পরম ধৰ্ম্মশীল সোমশৰ্ম্মাকে লইয়া আমি আরও কিয়ৎকাল সংসার-সুখ ভোগ করিতে অভিলাষ করি । এবং আমার অপর পুত্র-চতুষ্টয় আপনার প্রসাদে শাশ্বতলোকে গমন করুক। তাহাতে ভগবান বিষ্ণু শিবশৰ্ম্মার অপর পুত্রগণকে সম্বোধন করিয়া তাহাদিগকে সেই মূহুর্তে অক্ষয় মোক্ষ-ধামে গমন করিতে তাদেশ করিলেন । দেবাদিদেব নারায়ণের নিদেশমাত্র দ্বিজ-পুত্ৰগণ শঙ্খচক্ৰগদাপদ্মধারী, নানাভরণ-ভূষিত শান্তি লক্ষীর আধারভূত নীল-কলেবর ধারণ করিয়া মহাভাগ শিবশৰ্ম্মাসমক্ষেই একে একে বিষ্ণুদেহে প্রবেশ করতঃ ক্রমে নিৰ্ব্বণি প্রাপ্ত হইলেন ।