পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তত্রিংশ অধ্যায় । সুনীথা বলিলেন, হুে ভদ্রে! তুমি যাহা বলিলে, তাহ সম্পূর্ণ সত্য। আমি তোমাদিগের নিকট হইতে প্রাপ্ত বিদ্যা দ্বারা ইহঁকেই মোহিত করিব । সম্প্রতি তোমরা এ বিষয় আমার সাহায্য কর । সুনীথার এই বাক্য শ্রবণ করিয়! মনঃস্বিনী রম্ভ। বলিল, আমাদের নিকট হইতে তুমি কিরূপ সাহায্য প্রার্থনা করিতেছ, তাহ প্রকাশ করিয়া বল । সুনীথ বলিলেন, তুমি আমার দূতী হইয়া উহার নিকট গমন কর । রম্ভ। বলিল, আচ্ছ। তাছাই করিব, যাহা যাছা করিতে হইবে, তাহ বলিয়া দাও । অনন্তর এক দিন সেই কাম ক্রোধ শূন্য তুঙ্গ সুমেরুর এক পরম রমণীয় রত্নময় কন্দরায় উপবেশন করিয়া নারাণের ধ্যান করিতেছিলেন, এমন সময় সেই মৃত্যু-দুহিত। মুনীথ মায়া-বলে মোহিনীরূপ ধারণ করিয়া সখীসমূহে পরিরত হইয়। দোলারোহণে র্তাহার সমীপবর্তী অন্ত এক মণীয় কদরে যাইয়া অতি মনোহর স্বরে বীণা বাজাইতে আরম্ভ করিলেন । সেই সুমধুর তাল মান সমন্বিত চিত্তচষী বীণা-শব্দ শ্রবণ করিয়া সেই তেজস্বী তুঙ্গ মায়া-বলে বমুগ্ধ হইয়া ধ্যান হইতে বিচলিত হইলেন। তিনি সহসা যাগাসন হইতে উত্থিত হইয়া চারিদিক অন্বেষণ করিতে রিতে সেই সুনীথার আবাসভূত কন্দরার নিকট গম্ন করিলেন । তথায় উপস্থিত হইয়। দেখিলেন, সেই পূৰ্ণচন্দ্রঃ

  • @