পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o পানীয় পাত্র ছিল এবং সে বেদান্থগত ধৰ্ম্মের নিন্দকারী অসৎ শাস্ত্র পাঠ করিতেছিল । সেই পাপিষ্ঠ রাজসভায় প্রবেশ করিয়া ত্বরান্বিত হইয়া মহারাজ বেণের সম্মুখে উপস্থিত হইল । সেই সমাগত পুরুষকে মহাত্মা বেণ জিজ্ঞাসা করিলেন । এই অদৃষ্টপূর্ব বেশধারী তুমি কে আমার সভায় উপস্থিত হইলে ? তোমার মতে পাপ কি ? ধৰ্ম্ম কি ? কৰ্ম্মই বা কি ? তুমি কোন দেবতার উপাসনা কর ? তোমার তপস্যা ও ভাবনাই বা কিরূপ ? তোমার মতে সত্য ও জ্ঞান কি প্রকার ? এই সকল তত্ত্ব আমার সম্মুখে যথবং বর্ণন কর । বেণের এই বাক্য শ্রবণে সেই পাতকী উত্তর করিল। ছে রাজন ! তোমার এই প্রশ্ন শ্রবণ করিয়া তোমাকে ঘোর মুঢ় রূপে বোধ হইতেছে! আমি ধৰ্ম্মের সর্বস্ব এবং দেবগণের পূজ্যতম । আমি জ্ঞান, আমি সত্য, আমিই সনাতন বিধাতা । ধৰ্ম্ম আমি, মোক্ষ আমি এবং আমিই সৰ্ব্বদেব স্বৰূপ । আমি ব্রহ্মদেব হইতে উৎপন্ন এবং সত্য প্রতিজ্ঞ ১_আমাকে সতীয়ধৰ্ম্মরূপী জিন বলিয়া জান । জ্ঞানবান যোগীগণ আমারই ধ্যান করিয়া থাকেন । এই কথা শুনিয়া বেণ বলিলেন তোমার কীদৃশ কৰ্ম্ম, কিরূপ দর্শন, আচারই বা কিরূপ ? ইহার উত্তরে সেই পুরুষ বলিল, আমি দেবতা । দয়াই পরম ধৰ্ম্ম, দয়া করিলেই মোক্ষ প্রাপ্তি হয় । এক্ষণে আমার ধৰ্ম্মানুগত আচার বলিতেছি । আমার ধৰ্ম্মে যজন, যাজন, বেদাধ্যায়ন, সন্ধ্যা, তপ, দান, স্বধী, হুব্য, কব্য যজ্ঞাদির অনুষ্ঠান, পিতৃতর্পণ, অতিথি সেবা ও বৈশ্বদেব এসকল কিছুই নাই। কেবল ক্ষপণের পূজা ও অদ্ভুর্ভের ধ্যান এই দুইটাই জৈনমতাবলম্বীদিগের পক্ষে প্রধান