পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিমাদিত হইয়া, সাতিশয় শোভা পাইতেছে। অধিকন্তু, উদ্ধার লৰ্ব্বত্রই কোকিলকুলের কলনিনাদে প্ৰতিখনিত এবং ময়ুরগণের মনোছর শব্দে মধুরায়িত । সুলোচনা পদ্ধ এবংবিধ রমণীয় পৰ্ব্বতি, অনুত্তম বন ও সব্বতোভদ্রে তড়াগ দর্শন করিলেন । তিনি সেই অভূত অরণ্য ও তত্ত্বৎবস্তুজাত দর্শন করিয়া, সখীগণের সহিত ক্রীড়া ও স্ত্রীস্বভাবসুলভ চপলতার বশবৰ্ত্তিনী হইয়া, বিহার করি ভে প্রবৃত্ত হইলেন । অনন্তর পরম সুখে বিছর করত সখীগণ সর্মভিব্যাহারে সেই সরোবরে জলক্রীড়ায় সমাসীন হইলেন এবং কখন হাস্য ও কখন গান করিতে লাগিলেন । এই রূপে তিনি সুখবিছার আরম্ভ করিলেন । ঐ সময়ে কুবেরের ভূত্য দ্রুমিলনামক সর্বভোগপতি দৈত্য দিব্য বিমানে আরোহণ করিয়া, আকাশমার্গে গমন করিতেছিল । সৰ্ব্বযোষিদৃবরীয়সী উগ্রসেনমহিষী বিশালাক্ষী বৈদভী তাহার নয়নপথে পতিত হইলেন। দৈত্যপতি সেই অপ্রতিমরূপরাশি সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরীকে দর্শন করিয়া, চিন্তা করিল, এই ললনা মন্মথের রতি, বিষ্ণুর লক্ষনী, মহাদেবের পাৰ্ব্বতী, অথবা ইন্দ্রের শচী হইবেন । যেহেতু, ইনি সেইরূপই লক্ষিত হইতেছেন । ধরাতলে ইনি সমুদায় নারীকুলের অগ্রগণ্য এবং ইহার সদৃশী বা দ্বিতীয় দেখিতে পাওয়া যায় না । যেরূপ নক্ষত্রমণ্ডলে চন্দ্র, যেরূপ পুষ্করষওে হংস, তন্ধেপ এই ভাবিনী সখীগণসমাজে শোভা পাইতেছেন । আহা, ইহঁীর কি রূপ ! কি লীলা । না জানি, এই চারুরুত্তপয়োধরা সুলোচনা কে, কণস্থার পরিগ্ৰছ ? দৈত্যপতি ক্রমিল বরানন পদ্মাকে , দর্শন