পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিপঞ্চাশ অধ্যায় । ব্রাহ্মণী কছিলেন, পদ্মাবতী ঐরুপে রোদন করিতে আরম্ভ করিলে, তদীয় সখীগণ তাছা শ্রবণ করিয়া, জিজ্ঞাসা করিল, ভদ্ৰে ! কি জন্য রোদন করিতেছ, কি হইয়াছে, বল । তোমারত কোন অভদ্র ঘটে নাই ? যিনি এইমাত্র প্রিয়ে বলিয়া আহবান করিলেন, তোমার স্বামী সেই মথুরাধীশ কোথার গেলেন ? তাহতে পদ্মাবতী বারংবার রোদন করিয়া, অতিমাত্র দুঃখভরে সমুদায় জাতিদোষ সমুদ্রভব তাছাদের গোচর করিলেন। এবং অতিশয় কম্পিত হইতে লাগিলেন। সখীগণ র্তাছারে ভদবস্থ পিতৃগেছে লইয়া গিয়া, মাতার সমক্ষে সমুদায় নিবেদন করিল। দেবী শ্রবণ করিয়া, ভর্তৃমন্দিরে গমন ও হুছিতৃবৃত্তান্ত । আদ্যোপশন্ত র্তাহার গোচর করিলেন । রাজা শ্রবণ করিয়া, অতিশয় দুঃখিত হইলেন এবং মানাচ্ছাদনপূৰ্ব্বক কস্তাকে পরিচারসমভিব্যাহারে মথুরায় পঠাইয়া দিলেন । নাথ ! পিতামাতা এই রূপে পুত্রীর দোষ আচ্ছাদন করিলেন । এদিকে বৈদভী প্রিয়মন্দির প্রাপ্ত হইলে, ধৰ্ম্মাত্মা উগ্রসেন তাছারে সমাগত দেখিয়া, অতিশয় পুলকিত ছইয়া কছিলেন, বরাননে ! তোমা ব্যতিরেকে জীবনধারণে কখনই সক্ষম নছি। তোমার ভক্তি ও সত্যনিষ্ঠতা, গুণ, - শীল ও পতিদৈবতায় এবং বিশুদ্ধচরিত্র্যে আমি অতিশয় প্রীতিলাভ করিয়াছি। নৃপোত্তম উগ্রসেন প্রিয়তম।