পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৩১১

* করে । সুতরাং আমি সকলের বর্জনীয়া হইয়া, স্বদেশে, গুর্জরে, গৌরাষ্ট্রে, শিবমন্দিরে, বনস্থানে এবং অতিবিখ্যাগু। সমৃদ্ধিসম্পন্ন মগরে, এইরূপে দেশে দেশে পর্য্যটন করিক্তে লাগিলাম। ক্ষুধায় নিতান্ত পীড়িত হইলে কপরগ্রহণ পূর্বক ভিক্ষা করিতাম। কিন্তু গৃছিগণের দ্বারদেশে প্রবেশ করিলেই, সকলে আমার রূপ দর্শন করিয়া, কুৎসা করিত । তাহাতে আমি যার পর নাই দুঃখিত হইয় উঠলাম । — ঐরাপ মহাদুঃখে ইতস্ততঃ বিচরণ করিতে করিতে, একদা কোন অনুত্তম গৃহ অবলোকন করিলাম। ঐ গৃহ বেদনিমাদে প্রতিনাদিত, অনেক ব্রাহ্মণে পরিব্যাপ্ত, ধন ধন্যে পূর্ণ, বহুসংখ্য দাসদাসীতে অলঙ্কত, এবং বিভাবাতিশষ্যে সৰ্ব্বদাই আমোদিত । আমার স্বামী শিবশর্থ। এই সৰ্ব্বতোভদ্র রমণীয় গৃহের অধিস্বামী। আমি ক্ষুধাবেগে নিতান্ত ব্যাকুল হইয়া, তথায় প্রবেশপূর্বক ভিক্ষণ প্রার্থন করিলাম । দ্বিজোত্তম শিবশঙ্কা শ্ৰবণমাত্র তৎক্ষণাৎ মজলীনামী সাক্ষাৎ লক্ষীরূপিণী বরবর্ণিনী পত্নীকে আছাম করিয়া কছিলেন, প্রিয়ে ! এই ছকবল ভিক্ষার্থ দ্বারে সমাগত হইয়াছে । ইহারে আহবান করিয়া, ভোজন করাও । গরুমঙ্গলা মঙ্গল এই বৃত্তান্ত অবগত ও পরমরুপাবিষ্ট হইয়া, তথাস্তু বলিয়া, আমারে সুহুর্লভ মিষ্টাম্নে ভোজন করাইলেন । ঐসময়ে মহামতি ধৰ্ম্মাত্মা শিবশৰ্মা আমীরে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, শুভে ! তুমি কে, কিজস্য এখানে আগমন করিয়াছ এবং কি কারণেই বা সৰ্ব্বত্র ভ্রমণ করিতেছ, সমস্ত আমার সমক্ষে কীৰ্ত্তন কর । পাপীয়সী জামি মহাত্মা তর্তার বাক্য শ্রবণ করিয়া, তৎক্ষণাৎ স্বরে ভান্ধীয়ে