পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ং ভূমিখণ্ড : saè. প্রবেশ, তীর্থাৱত্তি এবং স্বর্গ ও অপবর্গও তাছরি শোধন করিতে পারে না। এই রূপে ভাবশুদ্ধিই পরম শোচ ও সৰ্ব্বকৰ্ম্মে প্রমাণ হইয়া থাকে। এবং এই ভাববলে ভিন্ন ভিন্ন বস্তুতে ভিন্ন ভিন্ন মনোবৃত্তির সংঘটন হয় । দেখ, লোকে এক ভাবে কাস্তাকে ও অন্য ভাবে দুহিতাকে আলিঙ্গন করে। সেই রূপ, বন্ধুও ভিন্ন ভিন্ন ভাবের বশীভুত হইয়া, স্বামী ও পুত্রের চিন্তা করিয়া থাকে । এই প্রকারে ভিন্ন ভিন্ন ভাবের ভিন্ন ভিন্ন ভাগ কম্পিত হইয়াছে। যে ব্যক্তি ভাবহীন, সে পরিস্বত্ত হইলেও, কান্তাকে আলিঙ্গন এবং সম্মুখে প্রাপ্ত হইলে, অমাদি বিবিধ সুরভি ভক্ষ্যও ভক্ষণ করে না । অতএব ভাবই সৰ্ব্বত্র কারণ । তদৃব্যতীত, অন্তবিধ বাস্থশোধনে কখন চিত্তের শুদ্ধি হইতে পারে না । মনুষ্য জ্ঞানপ্রভাবে যখন শুদ্ধ ও শুচি হইয়া, বৈরাগ্যের অনুসরণ করে, তখনই তাহার স্বগ ও অপবর্গ প্রাপ্তি হইয়া থাকে । এবং তখনই তাছার অবিদ্যাবধি ও বিষ্ঠা মুত্রের গন্ধলেপ বিদুরিত হয় । যাহা হউক, এই রূপে এই শরীর স্বভাবতই অশুচি । যে বুদ্ধিমান পুরুল ইহাকে ত্বত্মাত্রসার, আসার, কদলীসার সদৃশ ও নিরবচ্ছিন্ন দোষময় জানিয়া, শিথিলিত ও দৃঢ়গ্রাহী হয়েন, তিনিই সংসার অতিক্রম করিয়া থাকেন । রাজনৃ ! আমি এই অতিক্লেশময় জন্মদুঃখ কীৰ্ত্তন করিলাম । @ fa, গর্ভে থাকিয়া পুরুষের যে মতি হয়, জন্মগ্রহণ করিয়া অজ্ঞানদোষে ও বিবিধ কৰ্ম্মবশে তাহ বিনষ্ট হইয়া যায় । যোনিযন্ত্রের অতিমাত্র পীড়ন জন্য দুঃখ বশতঃ সাতিশয়