পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb”の বরং মৃত্যুও ভাল, তথাপি প্রার্থনা করিবে না । তৃষ্ণ হইতেই লঘুতা জন্মিয় থাকে। এই তৃষ্ণার আদিতে দুঃখ, মধ্যে দুঃখ ও অন্তেও দুঃখ । এই রূপে স্বভাবতঃ সৰ্ব্বদুঃখের আধার বলিয়া, সংসারে মনুষ্যের বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ সর্বত্রই দুঃখ যাছার জ্ঞান মাই, সেই ব্যক্তিই কেবল আসক্ত হয় ; কোন মতেই বিরাগ প্রকাশ করে ন৷ i ভাবিয়া দেখুন, অতিভোজন করিলেও অতিশয় দুঃখ হয় । ভোজন না করিলেও তদ্রুপ হুইয়া থাকে । আবার খাদ্য স’ গ্ৰহ করিতেও ক্লেশের অবধি থাকে না । এই প্রকারে কিছুতেই সুখের লেশ নাই। সমুদায় রোগের সমবায় বশতঃ শেষব্যাধি তমঃ বলিয়া অভিহিত হয় । উহা সৰ্ব্বদোষনিরপেক্ষ হইলে, ক্ষণমাত্র উপশমিত হুইয়া থাকে । ক্ষুদ্রব্যাধিও অতিশয় তীব্র ও নিঃশেষে বল হরণ করে। তাছাতেও অন্যান্য ব্যাধির ন্যায়, মৃত্যু সংঘটিত হয় । জিহব|এ পরিবর্তন ব্যতিরেকে এই ক্ষুধায় কি সুখ হইতে পারে ? আরও দেখ, সময় অতীত হইলে, ক্ষুধার আর লেশমাত্র থাকে না । এই রূপে ক্ষুদ্রব্যাধিতে সন্তপ্ত হইয়া লোকে প্রাণত্যাগ করে । এই জন্য পণ্ডিতগণ ক্ষুধাকে পরমার্থতঃ সুখের নিমিত্ত কম্পন করেন না । নিদ্রা ও জাগরণও সৰ্ব্বথা ক্লেশময় t লোকে সর্বকাৰ্য্যবিবর্জিত ও অন্ধকারে আচ্ছন্ন হইয়া মৃতের ন্যায় ষে শয়ন করে, তাছাতে সুখসম্ভাবনা কোথায় ? জাগরণেও বহুতর কার্য্য নিমিত্ত আত্মা উপছত ছয় ; তাছাতেই বা সুখ কি ? ফলতঃ দিবসে কৃষি ও ৰাণিজ্য সেবা, গোরক্ষাদি পরিশ্রম, প্রাতঃকালে বিষ্ঠামুত্র বিসর্জন, মধ্যাহ্নে ক্ষুৎপিপাসা, এবং রাত্রিতে নিদ্রায়