পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৩৮

#ণ, এ বিষয় জানিতে পারিলে, মহান রুষ্ট হইবেন । অতএব কোন প্রকারে দেবতাবৃন্দের রোষ বা অসন্তোষ ভাগিণী হই ও না । হে মহর্ষিগণ । মহাতপা দেবর্ষি নারদ মহাভাগ৷ কমলাকে এই উপদেশ প্রদান করিয়া স্থর লোকে প্রস্থান করিলেন । সুত কহিলেন, হে মহর্ষিগণ ! মুনিসত্তম মহাভাগ নারংদের বাক্যে সত্যনিষ্ঠাপরায়ণ বুদ্ধিমতী কমলার তাপতিত শোকসাগর কথঞ্চিৎ লাঘব হইল। তিনি আশার আশ্বাসে আশ্বাসিত হইয়া লিপি পরিতাপ পরিহার পূর্বক কোন রূপে প্রাণধারণ করিয়া রছিলেন। সত্যনিষ্ঠ সাধুগণ কখন অমৃতবাক্য প্রয়োগ করেন না । কালসহকারে দেবর্ষি নারদের বাক্য সত্যে পরিণত হইল। মহাত্ম। প্ৰহলাদ পুনরায় তু্যৈদহিনী কমলার গর্ভ চাশয় করিলেন । এবং পুনর্বার তিনি বিশ্বসংসারে প্রহাদ নামেই বিখ্যাত হইয়াছিলেন । জন্মান্তরীণ সুকুতি বশতঃ বাল্যকাল হইতেই তিনি বিষ্ণুভক্তি-পরতন্ত্র হইয়া একাগ্রচিত্তে লোক গুরু নারায়ণের পাদপদ্ম চিন্তা করিতে লাগিলেন। যদিও তিনি ত্বরাচার অসুরকুলে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তথাপি সর্ব-সিদ্ধি-প্রদায়িনী একমাত্র নারায়ণ-চিন্তাই ভঁtহার হৃদয়ক্ষেত্রে বলবতী হইয়াছিল । নিখিল বিশ্বচরাচর তাহার পক্ষে কেবল বিষ্ণুময় বোধ হইত। দেবাদিদেব বাহুদেবের প্ৰেমময় মূৰ্ত্তি ধ্যানধারণা করিয়। তিনি প্রেমানন্দে কালযাপন করিতে লাগি লেন। তদর্শনে ভক্ত বৎসল ভগবান বৈকুণ্ঠবিহার পরম