পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*৪৬• পদ্মপুatণ । যেমন কৃষ্ণরেখা লক্ষিত ছয়, অনন্তর তেজবলে ভৈল শ্লেষণ করিয়া, উত্তরোত্তর নির্মল হইয়া থাকে, তদ্বৎ শরীরস্থ জ্ঞানবহ্নি কৰ্ম্মতৈল শোষণ ও বিষয় সকলের অনুগত করিয়া প্রত্যক্ষ প্রদর্শন করে । অনন্তর প্রজলিত ও নিৰ্ম্মলীভূত হইয়া, আপনাকে প্রকাশিত করিয়া থাকে । তৎকালে ক্ৰোধলোভদি সঙ্গরূপ বায়ুবিহীন হওয়াতে, ঐ বহ্নি সৰ্ব্বথা নিশ্চল ও নিম্পদ হইয়, তেজোবলে স্বয়ং উজ্জ্বল ছয় । তখন স্বস্থানে থাকিয়াই, সমস্ত ত্ৰৈলোক্য কেবল জ্ঞানরূপ চক্ষু দ্বারা দেখিতে পাওয়া যায় । পরমার্থপরায়ণ মহাত্মা মুনীন্দ্রগণ যোগযুক্ত ছুইয়া, যে সৰ্ব্বজ্ঞ ও সর্বদশীকে দর্শন করেন, যিনি আছন্ত ও অপদ হইয়াও সৰ্ব্ব কাৰ্য্য সাধন ও সর্বত্র গমন করেন, যিনি অরূপ ছইয়াও সরূপ, যিনি সর্বলোকের প্রাণ ও সংসারের পূজিত, যিনি নীরসন হইয়াও সমুদায় বেদ শাস্ত্র বলিয়াছেন, যিনি নিস্ত ক হইয়াও সকলের স্পর্শন করিতে সক্ষম, যিনি সদানন্দ, বিরক্তাত্মা, নিরাশ্রয়, নিগুণ, নিৰ্ম্মম, সর্বব্যাপী, সগুণ, নিৰ্ম্মল, অবশ, সর্ববশ্য, সর্বদ, ও সর্ববিত্তম, যিনি সর্বদ আছেন বা নাই, যিনি স্থাবর জঙ্গম সমুদায়ই গ্রহণ করেন, মমুখ ও অচক্ষু হইয়াও ভক্ষণ ও দর্শন করেন, কৰ্ণ ন থাকিলেও সমুদায় শুনিতে পান, যিনি সকলের সাক্ষী ও সর্বময়, তিনিই জগতের পতি ও বিভূ। যে ব্যক্তি পরমাত্মার এইপ্রকার সর্বময় ধ্যাণ ধারণা করে, তাহার পরম স্থান ও অমৃতোপম অমৃত লাভ হয় । এক্ষণে পরমাত্মার দ্বিতীয় প্রকার ধ্যান কীৰ্ত্তন করিব। সেই পরাৎপর বিষ্ণু মুৰ্ত্তাকার সাকার, নিরাকার ও নিরাময় । অখিল ব্রহ্মাও তদীয় বসুতে