পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তমবতিতম অধ্যায়। কুঞ্জর কছিল, বৎস! চারুছালিনী অশোকসুন্দরী সমুদায় রমণীগণের অগ্রগণ্য এবং নৃত্য গীতে সবিশেষ পারদর্শিনী । সেই ললনা সৰ্ব্ব শোভা ধারণ পূর্বক স্বরূপ) অমর কামিনীগণ সমভিব্যাহারে সর্বকামসমন্বিত পবিত্র নন্দন প্রদেশে সর্বদাই ক্রীড়া করিত। একদা ঐরূপ ক্রীড়া করিতেছে, এমন সময়ে বিপ্রচিত্তির পুত্ৰ সৰ্ব্বকালভয়াবহ প্রচণ্ডাকৃতি মহাকামী তুও তথায় প্রবেশ করিল। এবং সর্বালঙ্কারশোভিত অশোকসুন্দরীকে দর্শন করিয়া, তৎক্ষণাৎ মন্মথবাণে বিদ্ধ ও বিকলচিত্ত ছইল । অনস্তর সেই মহাকায় অসুর তাছারে সম্বোধন করিয়া কছিল, শুভে ! তুমি কে, কাগর পরিগ্রহ, কি জন্য এই নন্দন বনে আগমন করিয়াছ ? অশোকসুন্দরী কহিল, শ্রবণ কর, আমি দেবদেব মহাদেবের আত্মজা ও কার্তিকেয়ের ভগিনী, স্বয়ং পার্বতী অামার জননী ; বাল্যসুলভ লীলার বশবৰ্ত্তিনী হইয়া, এই নন্দনে আগমন করিয়াছি। তুমি কে, কি জন্যই বা আমারে এই প্রকার জিজ্ঞাসা করিতেছ? তুও কছিল, আমি বিপ্রচিত্তির পুত্র ; তুওনামে বিখ্যাত, বলবীৰ্য্য ও পূর্ণলক্ষণে ভূষিত এবং সমুদায় দৈত্যগণের শ্রেষ্ঠ । অয়ি বরাননে! দেবলোক, মনুষ্যলোক নাগলো, অথবা অন্তলোক কুন্ত্ৰাপি কেহই আমার যশ, তপস্যা, বল, ধন অথবা ভোগ কোন বিষয়েই