পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনায়াসে সাহস সহকারে তদীয় কেশর ভিন্ন করিতে পারে ? অতএব সত্যাচারিণী, দয়াশালিনী, তপোনিয়মের অনুসারিণী পতিব্ৰতা আমার ভোগলালসাবশংবদ হইয়া, তুমি সদ্যোমৃত্যুর কামনা করিতেছ। যে ব্যক্তি কালপ্রেরিত, জীবমান কৃষ্ণসপের মাংস গ্রহণে তাহারই অভিলাষ হয় । রে মুঢ় ! তুমিও কালের সন্নিহিত হইয়াছ, সেই জন্য কামে মোহিত ও ঈদৃশী বিসদৃশী বুদ্ধির পরতন্ত্র হইয়া, আত্মমরণ দেখিতে পাইতেছ না। বলিতে কি, আয়ুপুত্ৰ নহুষ ব্যতিরেকে যে ব্যক্তি আমারে শরীরমাত্রেও দর্শন করিবে, তাহারই তৎক্ষণাৎ বিনাশ হুইবে । শিবদুছিত অশোকা এই প্রকার আভাষণ পূর্বক গঙ্গাতীর আশ্রয় করিলেন এবং নিরতিশয় দুঃখিত হইয়া, পুনরায় তাহারে কছিলেন, রে পাপ ! আমি পূর্বে পতিকামী হইয়া, নিয়ম সংযম সহকারে ঘোর তপস্যা করিয়াছিলাম। এক্ষণে তোমার বধ কাম৷ হইয়া, তদনুরূপ দারুণ তপস্যা করিব । মহাত্মা নহুষ আশিবিষ সদৃশ বজ্রকল্প সুশাণিত সায়ক প্রছার পূর্বক ংহার করিলে, দুরাত্মা তুমি যে সময়ে মুক্তকেশে রুধিরাক্ত পতিত হইবে, সেই সময়ে তোমারে তদবস্থ দর্শন করিয়া, আমার নিবৃত্তিলাভ হইবে । এই প্রকার দৃঢ়তর নিয়মবন্ধন পূৰ্ব্বক তিনি তুও বিনাশে স্থির সংকল্প হইয়া, গঙ্গাতীরে অধিষ্ঠান করিলেন। অর্চি যেরূপ দীপ্তিমতী ও সমুজ্জ্বল হইয়া, অতিমাত্র তেজে লোক সকল দগ্ধ করে, সেইরূপ তিনি ক্রোধে প্রজ্বলিত হইয়া, দুশ্চর তপস্থায় প্রবৃত্ত श्रेट्णन । * কুঞ্জর কৰিল, বৎসে ! শিবতনয় মহাভাগ অশোক