পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবনবতিতম অধ্যায়। কুঞ্জর কছিল, বৎস! ইন্দুমতী ক্রীড়া লালসায় সখীগণ সমভিব্যাহারে নন্দনে গমন করিয়াছিলেন । তৎকালে তুণ্ডের 4 পুত্রও বিহারমানসে তথায় প্রবেশ করে । সে চারণগণের মুখে শ্রবণ করিল, আয়ুর পুত্র বিষ্ণু তুল্য পরাক্রম মহাবীৰ্য্য নহুষ তুণ্ডের বধসাধন করিবে । এই নিরতিশয় অপ্রিয় ও হুঃখজনক বাক্য শ্রবণ করিয়া, পিতার অগ্রে সমস্ত নিবেদন করিল । পিতাও নিশ্চয় অবগত হইয়া, অশোকসন্দরীর পূর্বকৃত শাপ স্মরণ করিতে লাগিল। অনন্তর ইন্দুমতীর গর্ভ বিনাশে ক্লত্যোদ্যম হুইয়া হৃষ্টচিত্তে প্রতিদিন তদীয় ছিদ্র অন্বেষণে প্রবৃত্ত হইল। কিন্তু রূপেীদাৰ্য্যগুণশালিনী দিব্যতেজঃসমাযুক্ত ইন্দুমতী বিষ্ণুর তেজে রক্ষিত হইয়াছিলেন। স্বৰ্য্য বিম্বসদৃশ দিব্য তেজঃ সমস্ত সাক্ষাৎকারে তদীয় পাশ্বে সৰ্ব্বদা রক্ষা করিতেছে। তদর্শনে দুষ্টমতি দানব তদীয় অগ্রে বহুবিধ উগ্র ভীষণ বিভীষিকা প্রদর্শন করিতে লাগিল। কিন্তু বিষ্ণুতেজ রক্ষিত রাজ্ঞীর হৃদয়ে কিছুতেই ভয় সঞ্চার করিতে পারিল না। তাহাতে তাহার উদ্যম বিফল, মনোরথ ভ্ৰষ্ট ও অভিলষিত বিনষ্ট হইয়া গেল । এইরূপে বর্ষশত অতীত হইলে, স্বভামুনন্দিনী রজনীযোগে পুত্ৰশ্রেষ্ঠ পুত্র প্রসব করিলেন । ঐ পুত্র নভস্থ দিবাকরের ন্যায় ভেজে বলে অতিমাত্র শোভমান ।