পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৫৭৬

(Yty”o পদ্মপুরাণ বচনানুসারে দেবদেব শঙ্করের দৈনন্দিন পূজা করিয়া থাকি । আপনার জিজ্ঞাসিত সমুদায় সবিশেষ কছিলাম। দেবী কছিলেন, হুরাত্মন! তুমি সর্বধা ভক্তিৰর্জিত । এবং কামোদার রোদনসমুদ্‌ভুত দুঃখসম্ভব পুষ্প দ্বারা প্রতিদিন মহাদেবের পূজা করিয়া থাক । তুমি বাদৃশ পুষ্প দ্বারা যাদৃশ ভাৰে দেবদেবের অৰ্চনা কর, তাদৃশী সিদ্ধি প্রাপ্ত হইবে, তাহান্তে সন্দেহ নাই । তুমি যে দিব্য পূজা বিনাশপূর্বক শোকসমুৎপন্ন পুষ্প দ্বারা উপাসন কর, ইহাতে তোমার অতিমাত্র দারুণ দোষ আপতিত হইয়াছে । এই দোষের কোন মতেই পরিহার নাই। যাহার এইরূপে ভাবলীন, ধ্যানহীন ও বিচারবিহীন হইয়া, দেবপূজায় প্রবৃত্ত হয়, তাছাদেরই নিরতিশয় দোষ সমুৎপন্ন ছইয়া থাকে । তাছার কোন কালেই ক্ষমার অহণীয় নছে । অতএৰ ইছার প্রতিফল প্রদান করিব ; স্বকীয় কৰ্ম্মফল ভোগ কর । o ছরাত্মা দৈত্যের কাল আসন্ন হইয়াছিল । বিশেষতঃ, সুবিষম বিষমশরের অভিভাব বশতঃ তাছার জ্ঞানচৈতন্তের লেশমাত্র ছিল না । সুতরাং, সে পূর্বাপরৰিচারণাপরিশূন্য হইয়া, ক্রোধাভরে সামান্ত জ্ঞানে দেবীকে তুচ্ছ করিয়া কছিল, রে দুষ্ট ! রে দ্বরাচার । রে মদীয়-কৰ্ম্ম-বিদূষক । তোমার কিছুমাত্র জ্ঞান নাই। সেইজন্য আমার প্রতিকুল পথে প্রবৃত্ত হইয়াছ এবং সেইজন্য আমার প্রভাব না জানিয়া, ৰথেচ্ছ বাক্য প্রয়োগ করিতেছ। এই মুহূর্তেই এই নিশিত খড়েগ দুরাচীর পাপাত্মা তোমার সংছার করিব । এই বলিয়া সে তৎক্ষণাৎ সুশাণিত খড়গ অদৈাম ।