পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৫৮৪

পদ্মপুরাণ । نyاهRby) মহামুভাব মহাত্মার শরণার্থী হুইলাম। তিনি আমাকে দর্শন করিয়া, করুণাবশতঃ স্বভাবমধুর সুন্দর বাক্যে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কে, কিজস্য অতিমাত্র শোক করিতেছ? কিজন্যই বা তোমার ঈদৃশ দারুণ দুঃখ সমুখপন্ন হইয়াছে? অধুন, তোমার অভিপ্রায় কি, সমুদায় সবিশেষ কীৰ্ত্তন কর । তিনি নিতান্ত বিশ্বস্ত আত্মীয়ের ন্যায়, এইপ্রকার জিজ্ঞাসা করিলে, আমি অকপট হৃদয়ে স্বকীয় মুঢ়তা ও তঞ্জনিত হঃখবাহুল্য যথাযথ কীৰ্ত্তন করিলাম এবং কৃতাঞ্জলিপুটে গদৃগদ বচনে কহিলাম, ভগবন ! কিরূপ উপায়ে সর্বজ্ঞতসিদ্ধি হইতে পারে, অনুগ্রহপূর্বক নির্দেশ করুন। সর্বঙ্গজুর অভাববশতই আমার যাবতীয় দুঃখ উপস্থিত হইয়াছে । অতএব আমারে আশ্রয় প্রদান ও উদ্ধার করুন। আপনি ব্যতীত এবিষয়ে আমার গত্যন্তর বা উপায়ান্তর নাই । তিনি সমুদায় শ্রবণ করিয়া কছিলেন, বৎস! মনোযোগপূর্বক শ্রবণ কর ; সর্বজ্ঞ তালাভের উপায় ও জ্ঞানের স্বরূপ কীৰ্ত্তন করি। জ্ঞানের ছন্ত নাই, পদ নাই, চক্ষু নাই, বুদ্ধি নাই, নাসিকা নাই, অথবা আহারসংগ্রহ নাই । কেছ কথম তাছার সাক্ষাৎ পায় মাই ; সুতরাং তাছার স্বরূপ কি, কাছারও বলিবার মাধ্য নাই। এই জ্ঞান নিত্য ও আকারবৰ্দ্ধিত এবং সর্ববিৎ ; সংসারের কোন বিষয়ই তাহার অবিদিত নাই ।