পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৫৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশাধিকশততম অধ্যায় -)* ++ *رسه | সিদ্ধ কছিলেন, সুৰ্য্য দিন প্রকাশ করে, চন্দ্র রাত্রি প্রকাশ করে, প্রদীপ গৃহ প্রকাশ কয়ে এবং জ্ঞান হৃদয় প্রকাশ করে । কিরূপ উপায়ে জ্ঞান লক্ষিত হয়, শ্রবণ কর । এই জ্ঞান অতিমাত্র দীপ্ত ও নিরাময় এবং শরীরের মধ্যে অবস্থিতি করে । মাছারা মোহমায়ায় মোহিত, সেই সকল মূঢ় এই জ্ঞান লাভ করিতে পারে না। চন্দ্র সুর্য্যাদিও ইছার দর্শন প্রাপ্ত হয় না । ইহার হস্ত নাই, পদ নাই, কুর্ণ মাই। তথাপি এই জ্ঞান সর্বত্র গমন, সমুদায় গ্রহণ, সকল দর্শন, সকল ভ্রাণ ও সমুদায় শ্রবণ করিয়া থাকে, তাহাতে সংশয় নাই। সমুদায় অন্ধকার বিনাশ করিতে জ্ঞানের সমান প্রদীপ নাই। স্বর্গে, পৃথিবীতে অথবা পাতালে জ্ঞানের স্থান লক্ষিত হয় না । কুবুদ্ধিগণ কায়মধ্যত জ্ঞান লাভ করিতে পারে না । যাহা হইতে জ্ঞান সমুৎপন্ন ও ষেখানে অধিষ্ঠিত হয়, কীৰ্ত্তন করি, অবধান কর । হে দ্বিজ ! প্রাণিগণের হৃদয়ে এই জ্ঞান সর্বদা অবস্থিতি করে । যিনি বিবেকরূপ বহ্নি দ্বারা মহামোছ ও কামাদি রাগ সমুদায় দগ্ধ এবং সর্বথা শান্তিময় ছইয়া ইন্দ্রিয়বিষয় সমুদয় প্রদর্শন করেন, সর্বতত্ত্বার্থপ্রদর্শক নিৰ্ম্মলস্বভাব জ্ঞান তাছা হইতে সমুদ্‌ভুত হয়। শান্তিই ঐ জ্ঞানের মূল । অতএব তুমি সর্বসোশ্যপ্রবন্ধনী শান্তির পরিচর্ষ্য কর। এবং শত্রু মিত্র আপন পর সর্বত্র সমদশী ও নিরত ছইয়া,