পাতা:পদ্মপুরাণ (ভূমিখণ্ড).pdf/৫৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিখণ্ড । ( సిలి আমি কেবল সংস্ক তাক্ষরসম্পন্ন গদ্যপদ্যময় বাক্য ছার এই বলিয়া পরিতাপ করিতাম, হে শুক ! হে পক্ষিরাজ ! শ্রবণ কর । তোমা বিনা কে আর বিচিত্র বাগ বিন্যাস সহকারে অধুনা আমাকে প্রবোধিত করিবে ! তুমি যে সকল সুমধুর বাক্য প্রয়োগ করিতে, অদ্য তৎসমন্ত স্মরণ করিয়া, আমার হৃদয় শতথা বিদীর্ণ হইতেছে । বৎস ! বল, আমি কি অপরাধ করিয়াছিলাম, তুমি এই উদ্যানে আমাকে একাকী পরিত্যাগ করিয়া, গমন করিলে ! আমি যে তোমা ব্যতিরেকে ক্ষণমাত্র জীবণ ধারণে সমর্থ নছি, তাছা কি তুমি অবগত নছ ! অয়ি সংসারসর্বস্ব ! তুমি কোথায় ? আমি ব্যাকুল হইয়। তার স্বরে বারংবার আহবান করিতেছি, তুমি কি একবারও শুনিতে পাইতে ছ না ! হে বিপ্রেন্দ্র । এবংবিধ তত্তৎ মহামায়াহেতুযোগে অভিভূত ও দুর্ভর শোকভারে নিতান্ত প্রপীড়িত হুইয়। দুঃখের অতিমাত্র আঘাতে আমার প্রাণবিয়োগ হইলে, তদ্ভাবৰশ আমি তন্ময়ত্ব প্রাপ্ত হইলাম । মরণসময়ে আমার মতিগতি যেরূপ ছিল, আমি তাদৃশভাবে জন্মগ্রহণ করিলাম । গর্ভে প্রবেশ করিয়া, আমার স্মৃতিবিধায়ক জ্ঞান সঞ্চরিত হইলে, অরুতাত্মা দুরাত্মা আমি পূবে যে যে কৰ্ম্ম ও যেরূপ চেষ্টা করিয়াছিলাম, তৎসমস্ত স্মরণপথে সমুদিত হইল । অধিকন্তু, গৰ্ভযোগ প্রাপ্ত হইলে, সেই সর্বদশী নিৰ্ম্মল জ্ঞানও পুনরায় প্রাপ্ত হইলাম । র্যাছার বিশুদ্ধ উপদেশে অামার সমস্ত কলুষ তিরোচিত ও আত্মা অতিমাৰু শুদ্ধ হইয়াছিল, সেই গুরুদেব সিদ্ধদেবের প্রসাদে উল্লিখিত অমুত্তম জ্ঞান অধিগত হইয়াছিল । হে বিপ্রেন্দ্র । শুকের ধ্যানভাববশতঃ